কর্মসংস্থানে দৃঢ় আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর (হি.স.)৷৷ বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে মাতা ত্রিপুরেশ্বরীকে দর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ আজ শনিবার রাজ্য সচিবালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের ওয়েবসাইটhttps://tripurasundari.tripura.gov.in- এর সূচনা করে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি আরও বলেন, ৫১টি শক্তিপীঠের এক পীঠ মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির-এ পূজা, আরতি এখন ঘরে বসেই সমগ্র বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করতে পারবেন৷ পাশাপাশি, অনলাইনে দান করার সুযোগও রয়েছে৷ তাতে কর ছাড় মিলবে৷
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ওই ওয়েবসাইট প্রচুর ধর্মপ্রাণ মানুষকে আকর্ষিত করবে৷ সাথে বাড়বে পর্যটকের সংখ্যাও৷ তাঁর দাবি, পর্যটনকে আরও চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের ওয়েবসাইট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে৷


এদিন মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে দান সংগ্রহের প্রক্রিয়া নিয়ে পূর্বতন সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ণ তুলেছেন৷ তিনি বলেন, অতীতে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে সংগৃহীত দানের কোনও হিসাব মিলত না৷ কিন্তু এখন নতুন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রত্যেক দান বাবদ সংগ্রহ অর্থের হিসাব পাওয়া যাবে৷

ওয়েবসাইটের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য বিষয়ের বর্ণনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, মন্দিরের ভেতরে সংস্থাপিত ক্যামেরা দুবার ব্যবহৃত হবে৷ তাতে আরতি এবং পূজা সরাসরি ওয়েবসাইটে সম্প্রচারিত হবে৷ তিনি জানান, প্রতিদিন ভোর চারটা থেকে পাঁচটা এবং সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত মন্দিরে আরতি এবং পূজা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে৷
তিনি আরও জানান, বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে এখন অন্নভোগ, বলি অনলাইনে বুকিং করা যাবে৷ এছাড়া থাকার মতো জায়গার তথ্যও ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে৷ তাঁর কথায়, ধর্মস্থান কর্মসংস্থান সৃষ্টির অনেক সুযোগ নিয়ে আসে৷ সারা দেশের অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট, তিরুপতি বালাজি মন্দির কিংবা বৈষ্ণোদেবী মন্দিরকে ঘিরে পান দোকান থেকে শুরু করে পাঁচ তারা হোটেলেএ প্রচুর কর্মসংস্থান হচ্ছে৷ তাই তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ত্রিপুরায় আগামীদিনে এভাবেই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷