নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর৷৷ নবনিযুুক্ত প্রভারীর রাজ্য সফরে শাসক দল বিজেপিতে বিদ্রোহের দাবানল আরও প্রকট হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিনোদ সোনকরের সংবর্ধনা সভায় বিজেপির বিদ্রোহী গোষ্ঠী অনুপস্থিত থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন কোনও ভাবেই তাদের দমানো যাবে না৷ বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল থেকে শুরু করে সুদীপ রায় বর্মন ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বাকি বিধায়কসহ অনেকেই এদিন সংবর্ধনা সভায় অংশ নেননি৷ ভীড়ে ঠাসা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের এক নং হলে বিদ্রোহীদের অনুপস্থিতি নবনিযুক্ত প্রভারীর সংগঠন পরিচালনা আরও কঠিনতর করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷ সূত্রের দাবি, রবিবার একেক করে বিদ্রোহীদের বক্তব্য শুনবেন বিনোদ সোনকর৷
রাজ্যে গত কয়ক মাস ধরেই শাসক দলের অন্দরে বিদ্রোহ তুষের আগুনের মতো বাড়ছিল৷ দিল্লী গিয়েও তারা খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি৷ তবে, সাংগঠনিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে তাদের ধৈর্য্য ধরার বার্তা দিয়েছে বিজেপি হাইকমান্ড৷ কিন্তু, বিদ্রোহী গোষ্ঠী কোনও ভাবেই ধৈর্য্য ধরার পক্ষে নন৷ ফলে, কিছুদিন পরপর তাদের গতিবিধি বিরোধীদের কাছে রসদ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে৷ পরিস্থিতি দেখে রাজ্যে বিরোধীদের ভূমিকায় বিদ্রোহীরাই অবতীর্ণ হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে, এই অসন্তোষের পিছনে রহস্যের সন্ধানে কারোর কোন মাথা ব্যাথা রয়েছে বলে মনে করা যাচ্ছে না৷ বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বিজেপির সাথে যুক্ত রয়েছেন৷ এছাড়া সুদীপ বর্মন সহ আশিষ কুমার সাহা, দিবাচন্দ্র রাঙ্খল, সুশান্ত চৌধুরী নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ আরও অনেকেই বিদ্রোহীর তালিকায় রয়েছেন, তারাও বিজেপির আদর্শে কতটা অনুপ্রানিত দলের অন্দরেই এই বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ ফলে, বিদ্রোহের প্রকৃত কারণ দলের নবনিযুক্ত প্রভারী খঁুজে বের করবেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে৷