কোহিমা, ২৮ নভেম্বর (হি.স.) : আসল হীরা-র সন্ধান মিলেছে, অবাক করার মতো খবরে গত ছয়-সাতদিন ধরে নাগাল্যান্ডের মন জেলার জনগণ মণির খোঁজে ব্যাপক হই-হুল্লোর করছিলেন। কিন্তু তাঁদের স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিয়েছে নৃতাত্ত্বিক দফতরের দল। গবেষণা করে নৃতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, যে সব পদার্থকে হীরা বলে দাবি করা হচ্ছে সেগুলি নেহাত এক প্রকার স্বচ্ছ স্ফটিক পাথর।
আসল হীরা-র সন্ধান মিলেছে বলে সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ আলোড়ন তুলেছিল। নাগাল্যান্ডের মন জেলার ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ওয়াচেনে গ্রামের স্থানীয় জনগণ হীরা পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন। শতাধিক মানুষ শিবির গড়ে মণি খুঁড়ে মণি উদ্ধারে মেতেছিলেন। তবে ওই মণির গুণমান সম্পর্কে তখন পর্যন্ত কেউই অবগত ছিলেন না। ভিডিওয় একটি পাহাড়ি অঞ্চলে স্থানীয় জনগণ মাটি খুঁড়ে ওই মণি বের করছেন বলে দেখা গিয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার মণি খননের দৃশ্য সংবলিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দলবল নিয়ে নাগাল্যান্ডের ভূতত্ত্ব ও খনন দফতরের অধিকর্তা এস মেনন ঘটনাস্থলে যান। তিনি পাথরগুলি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে বিভাগীয় চার ভূতাত্ত্বিক যথাক্রমে এবেনথাং লোথা, লংরিকাবা, ক্যানিয়েলো রেংমা এবং ডেভিড লউপেনিকে দায়িত্ব দেন। তাঁরা ওয়ানচিং গ্রামের সন্দেহজনক হীরার পরীক্ষা করেন। প্রাথমিক অনুপুঙ্খ পরীক্ষার পর ভূতাত্ত্বিক দল ঘোষণা করেছে, যে পদার্থগুলিকে হীরা বলে দাবি করা হচ্ছে সেগুলো এক ধরনের স্বচ্ছ স্ফটিক পাথর। আগামী সোমবার এ ব্যাপারে সরকারিভাবে এক রিপোর্ট তাঁরা দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ওয়ানচিং গ্রামের গোটা ঘটনা মনের জেলাশাসক থাভাসিলম কেয়ো পর্যবেক্ষণ করেছেন।