নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ নভেম্বর৷৷ কাঞ্চনপুর মহাকুমায় যৌথ কমিটির উদ্যোগে টানা ৬ দিনের বনধ-এ কাঞ্চনপুর মহকুমা জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে৷ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ ষষ্ঠ দিনের বনধ -এ মৃত্যু হয়েছে দুজনের৷ সরকার যদি সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তাহলে এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না৷
রবিবার আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সমাজপতিরা যৌথ ভাবে এমনটাই অভিযোগ তুললেন সরকারের বিরুদ্ধে৷ মথা সভাপতি পঞ্চরাম রিয়াং জানান, রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ফলে জাতি উপজাতি কারণে কোনো আর্থিক এবং সামাজিক ক্ষয়ক্ষতি হবে না৷ আর যেখানে তাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, সেই স্থান সরকারের৷ সরকারি জায়গায় পুনর্বাসনে ব্যবস্থা করলে আন্দোলনকারী যৌথ কমিটির আপত্তি কোথায় বলে তিনি প্রশ্ণ তোলেন৷ এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য সরকারকে আইনত ভাবে তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী৷
সরকার পক্ষ থেকে মামলা নেওয়া হোক এই ধরনের আন্দোলন গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ সাম্প্রদায়িকতার রূপ ধারণ করতে পারে৷ তবে বনধকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা দায়ক বলে জানান তিনি৷ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার ক্ষত্রিয় সমাজের সভাপতি দিলীপ কুমার দেব, বীরেন্দ্র ত্রিপুরা প্রমুখ৷