নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৭ নভেম্বর৷৷ রাজ্যে পণের দায়ে বধূ নির্যাতন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বিশালগড় থানা এলাকার গোকুলনগরে এক গৃহবধূকে অগ্ণিদগ্দ করে হত্যার চেষ্টা করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা৷ অগ্ণি দগ্দ গৃহবধূ বর্তমানে জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে৷
অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর বাপের বাড়ি তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে তার স্বামী এবং শাশুড়ি ঘরে আটকে রেখে গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্ণিদগ্দ করে হত্যার চেষ্টা করেছে৷ অভিযুক্ত স্বামীর নাম রিপন সরকার এবং শাশুড়ির নাম কবিতা সরকার৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল নাগাদ৷ঘটনার বিবরণে জানা গেছে প্রায় তিন বছর আগে সামাজিক প্রথায় তাদের বিয়ে হয়েছিল৷বিয়েতে পাত্র পক্ষের দাবি অনুযায়ী পাত্রীপক্ষ নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে দিয়েছিল৷
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই গৃহবধূর ওপর নির্যাতন শুরু হয়৷বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে স্বামী এবং শাশুড়ি৷ চাহিদা মতো টাকা এনে দিতে না পারায় গৃহবধূর ওপর নির্যাতনের মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ বর্তমানে তাদের দেড় বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে৷মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়িতেই গৃহবধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে তার স্বামী রিপন সরকার এবং শাশুড়ি কবিতা সরকার আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানিয়েছে অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূ৷এ ব্যাপারে অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর বাপের বাড়ি থেকে বিশালগড় থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ গোকুলনগরে গৃহবধূ অগ্ণিদগ্দ হওয়ার খবর পেয়ে তার বাপের বাড়ির লোকজনেরা সেখানে ছুটে গিয়ে লক্ষ করেন অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর ওপর পড়ে থাকলেও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি৷অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন এসে গৃহবধূকে প্রথমে বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখান থেকে তাকে হাপানিয়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাপানিয়া হাসপাতাল থেকে তাকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেশন টা জানান তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে পর্যন্ত আসেনি৷ অভিযুক্ত স্বামী ঘটনার পর পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়৷ বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো দাবি উঠেছে৷