নয়াদিল্লি, ১১ নভেম্বর (হি. স.): বিহার বিধানসভা নির্বাচনে শক্তিশালী দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি এবং আরজেডি। যুযুধান এই দুটি দলই শেষ পর্যন্ত টানটান লড়াই করে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউর আসন সংখ্যা উল্লেখজনকভাবে কমেছে। নির্বাচনের টেবিলে কার্যত তিন নম্বরে নেমে এসেছে জেডিইউ। অন্যদিকে লোকজন শক্তি পার্টির অবস্থাও ভাল। তাদের মাত্র একজন প্রার্থী নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে পেরেছেন। যদিও লোক জনশক্তি পার্টির সঙ্গে কেন্দ্রে জোট থাকলেও বিহারে কোন জোট করেনি বিজেপি। কিন্তু জেডিইউ এবং লোক জনশক্তি পার্টির নির্বাচনী ভরাডুবির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিং।
বুধবার টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, কূটনীতি অবলম্বন করে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মর্যাদাহানি ঘটিয়েছে বিজেপি। রামবিলাস পাসওয়ানের পরম্পরাকে ধ্বংস করে ছেড়েছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে বিহারের রাজনৈতিক গণ্ডি নীতীশ কুমারের জন্য খুব ছোট হয়ে গিয়েছে। তাঁর উচিত জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা। জাতীয় স্তরে যে বিভাজনের রাজনীতি চলছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ সমাজবাদীদের সহায়তা করতে এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিত। দেশের বিভিন্ন অংশে নির্বাচনে ভরাডুবি এবং বিহারে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পরও রাহুল গান্ধীর প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন দ্বিগ্বিজয় সিং। নিজের অপর এক টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, দেশের একমাত্র আদর্শের জন্য লড়াই করে চলেছেন রাহুল গান্ধী। এন ডি এ জোটসঙ্গীতের উচিত আদর্শের রাজনীতি কি জিনিস তা বোঝা। আদর্শচ্যুত রাজনৈতিক দল বা নেতৃত্ব কখনোই রাজনীতিতে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। উল্লেখ করা যেতে পারে এবারের নির্বাচনে লোক জনশক্তি পার্টি ১৩৭ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তারা জিতেছে কেবলমাত্র একটি আসনে। জেডিইউ জিতেছে মাত্র ৪৩ আসনে।