নয়াদিল্লি, ৯ নভেম্বর (হি. স.): চলচ্চিত্র শিল্পের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অপমানজনক রিপোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে যে পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল তার শুনানি করতে গিয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থাগুলিকে নোটিশ জারি করেছে। বিচারপতি রাজীব শকধরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নোটিশের জবাব দিহি করতে সংবাদ সংস্থাগুলিকে বলেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ ডিসেম্বর।
সোমবার শুনানি চলাকালীন পিটিশনকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী রাজীব নাইয়ার এবং অখিল সিব্বল জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সংবাদ চ্যানেলগুলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে কিংগপিন অফ বলিউড, পাকিস্তান ফান্ডেড, নেপোটিজমস নামে অভিহিত করেছে। সংবাদ চ্যানেলগুলি নিজের রিপোর্টিংয়ে দাবি করেছিলেন যে দীপিকা পাডুকোন মাল দেওয়ার কথা বলেছে। এমনকি শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা আনা যায় কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে সংবাদ চ্যানেলগুলি। ফলে এই অপমানজনক রিপোর্টিং রোধ করার লক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
সংবাদমাধ্যমগুলো আত্মনিয়ন্ত্রণ (সেলফ রেগুলেশন) সঠিকভাবে করতে পারছে না। এমনকি নিউজ ব্রডকাস্টিং স্ট্যান্ডার্ড অথরিটিও মেনে নিয়েছে যে সত্যের খোঁজে কোন অভিযুক্তকে সীমা ছাড়িয়ে হেনস্থা করা উচিত নয়। তখন আদালত আইনজীবীদের কাছে জানতে চায় যে তারা কি ক্ষতিপূরণের চায়। আইনজীবীরা জানান, ‘না ‘। আদালত তখন বলে বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন ক্ষতিপূরণের দাবি করা যেতেই পারে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বলিউডের ৩৮ জন প্রযোজক সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংবাদ চ্যানেল ও সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছে। পিটিশনের স্পষ্ট বলা হয়েছে বলিউডের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার হরণের চেষ্টা করেছে সংবাদমাধ্যম। চলচ্চিত্রশিল্পে মাদকব্যবসার মতন ভিত্তিহীন অভিযোগ সংবাদমাধ্যমগুলো করেছে। এমনকি বলিউডের সঙ্গে যুক্ত চলচ্চিত্রশিল্পীদের ‘ড্রাগইজ ‘, ‘ ডার্ট ‘ বলেও অভিহিত করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।