দক্ষিণ শালমারা (অসম), ৩ নভেম্বর (হি.স.) : দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলার মানকাচর থানা এলাকার অসম-মেঘালয় সীমান্তৰ্তী মহিষঘুমা গ্রাম থেকে অপহৃত যুবকের অৰ্ধগলিত মৃতদেহ মঙ্গলবার ভোরে উদ্ধার হয়েছে। পার্শ্ববর্তী মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম গারোপাহাড় জেলার জিকজাকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, বাহারুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, নমেজ গারো, আহমেদ হুসেন এবং সমরশ ওরফে সম্রাট এম মারাক বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
দক্ষিণ শালমারার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজেন্দ্ৰ ওজাগত জানান, গত ২০ অক্টোবর মানকাচরের কালাপানি পুলিশ ফাঁড়ির অধীনস্থ মহিষঘুমা গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমদাদ হুসেনকে ১১ জনের এক দৃর্বৃত্তের দল অপহরণ করেছিল। জানা গেছে, যুবক ইমদাদকে তার কয়েকজন সঙ্গী তার ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করেছিল। এর পর ইমদাদের পরিবারের তরফ থেকে ২১ অক্টোবর কালাপানি পুলিশ ফাঁড়িতে অপহরণ সংক্রান্ত এক এজাহার দাখিল করা হয়। এজাহারের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে অপহৃত ইমদাদের সন্ধানে তালাশি অভিযান চালায় পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার (১ নভেম্বর) চার অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রাতের দিকে পুলিশ আরও দুজনকে পাকড়াও করে। ম্যারাথন জেরায় ধৃতরা পুলিশকে জানায়, অপহরণ করে মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম গারোপাহাড় জেলার জিকজাকে ইমদাদকে নিয়ে গত ২৬ তারিখ খুন করেছে তারা। তাদের স্বীকারোক্তির পর মানকাচর জেলা পুলিশের এক দল মেঘালয় পুলিশের সহযোগিতায় আজ মঙ্গলবার ভোরে জিকজাকে যায়। সেখানে অন্য আরেক গারো অপহরণকারী সমরেশ ওরফে সম্রাট এম মারাককে আটক করে পুলিশ। গারো অপহরণকারীটির বয়ান অনুযায়ী জিকজাকের ডোমাপাড়া কমিউনিটি রিজাৰ্ভ ফরেস্ট থেকে অপহৃত যুবক ইমদাদ হুসেনের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।