নয়াদিল্লি, ৩০ অক্টোবর (হি.স.): সাংবাদিকতা শুধুমাত্র পেশা নয়, অনেক বড় মিশনও। যাঁরা সাংবাদিকতাকে শুধুমাত্র পেশা অথবা কাজ মনে করবেন তাঁরা কখনও আত্মতুষ্টি পাবেন না। এমনই অভিমত বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রবীন্দ্র কিশোর সিনহার। বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী বালেশ্বর আগরওয়ালের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগ পরিষদ এবং বহুভাষী সংবাদ সংস্থা হিন্দুস্থান সমাচার-এর যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভার বিষয়বস্তু ছিল “হিন্দি সাংবাদিকতায় শ্রীবালেশ্বরের ভূমিকা” এবং “সোশ্যাল মিডিয়া যুগে সাংবাদিকতা : সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ”। এই আলোচনা সভায় বিশিষ্ট কলামিস্ট তথা প্রাক্তন সাংসদ রবীন্দ্র কিশোর সিনহা শ্রী বালেশ্বর আগরওয়ালের সঙ্গে কাটানো বহু পুরানো সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। ভবিষ্যতের প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাঁরা সাংবাদিকতা পেশায় আসবেন, তাঁদের বুঝতে হবে সাংবাদিকতা শুধুমাত্র পেশা অথবা কাজ নয়, তার থেকেও বেশি। অনেক বড় মিশনও, যাঁরা শুধু কাজ মনে করেন তাঁরা কখনও আত্মতুষ্টি পাবেন না।’এদিন বালেশ্বরজির স্মৃতিচারণা করে প্রবীণ সাংবাদিক রামবাহাদুর রায় বলেন, ‘বালেশ্বরজিকে আমি যখন একজন সাংবাদিক হিসেবে স্মরণ করি, আমার মনে হয় তিনি সাংবাদিকতার পূর্ণ অবতার ছিলেন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সত্বেও দেশ নির্মাণের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৪ দশক ধরে হিন্দুস্থান সমাচার-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নিষ্ঠাবান স্বয়ংসেবক ছিলেন বালেশ্বরজি।’
এই আলোচনা সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিক আদিত্য রাজ কৌউল বলেন, ‘আমার মতে সাংবাদিকতায় এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক উপলব্ধি এসেছে, কঠিনও হয়েছে। বালেশ্বর আগরওয়াল যখন কাজ করতেন তখন অনেক প্রতিকূলতা ছিল, তা সত্বেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতায় অবদান রেখেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সকলকে এখন এক সুতোয় বেঁধেছে, কিন্তু মানসিকতা এখনও মনে হয় নেতিবাচক।’ আলোচনা সভায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫ এ ধারা রদ পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন আদিত্য রাজ কৌউল।আলোচনা সভায় আরও যাঁরা বক্তব্য রাখেন তাঁরা হলেন হিন্দুস্থান সমাচার-এর চেয়ারম্যান অরবিন্দ মার্ডিকর, অচ্যুতানন্দ মিশ্র, অশোক ট্যান্ডন, অলোক মেহতা, তরুণ বিজয়, স্বাতী গোয়েল প্রমুখ।