ইস্তানবুল, ৩১ অক্টোবর (হি.স.): শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল। ৭.০ তীব্রতার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত গ্রিসও। জোরালো তীব্রতার ভূমিকম্পে তুরস্কের উপকূলবর্তীয় ইজমির শহরে ভেঙে পড়ে প্রচুর বহুতল, ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে গ্রিসেও। কম্পন অনুভূত হয় ইস্তানবুল এবং এথেন্সেও। তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের ও আহত হয়েছেন ৮০৪-রও বেশি মানুষ। গ্রিসে মৃত্যু হয়েছে দু’জন কিশোর-কিশোরীর। ৭.০ তীব্রতার ভূমিকম্পের পর ১৯৬ বার আফটারশক অনুভূত হয়, তার মধ্যে ২৩টি আফটারশক ৪.০ তীব্রতার বেশি ছিল।
স্থানীয় সময় অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেলে ৭.০ তীব্রতার ভূকম্পন অনুভূত হয় এজিয়ান সাগরে। তুরস্কের এজিয়ান উপকূল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মারমারা অঞ্চলে তীব্র ভূকম্পন টের পাওয়া যায়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। তীব্র ভূমিকম্পে সামোসের এজিয়ান আইল্যান্ডে ‘মিনি-সুনামি’ আছড়ে পড়ে। ‘মিনি-সুনামি’-র পর সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ে ইজমির শহরে। তুরস্কের ইজমির শহরেই ভেঙে পড়ে প্রায় ২০টি বহুতল।
ইজমির শহরে বহুতল ভেঙে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান প্রচুর মানুষ। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। অন্যদিকে গ্রিসের সামোস আইল্যান্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীর। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই দু’জন কিশোর-কিশোরী। একটি বহুতলের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। সামোস দ্বীপপুঞ্জে ভূমিকম্পের প্রভাবে কাঠামো, দেওয়াল, বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আহত হয়েছেন ৮ জন।