নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর (হি.স.) : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উগ্রপন্থীদের দমন করতে মায়ানমার সেনা শুরু করেছে ‘অপারেশন সানরাইজ-৩’। মায়ানমারের ভূমিতে ভারতের উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়। তাদের সেই পথ বন্ধ করার লক্ষ্যেই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মূলত কেন্দ্রীয় বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা ও ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারভানের দু-দিনের মায়ানমার সফরের দরুন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ওই সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমারে বহু সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ঘাঁটি গেড়েছে। সেখান থেকেই তারা ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনা করে চলেছে। মায়ানমারের গোপন ঘাঁটি থেকে ন্যাশনালিস্ট সোশালিস্ট কাউন্সিল অব নাগালিম-এর খাপলাং (এনএসসিএন-কে) জঙ্গি গোষ্ঠী পরিচালিত হচ্ছে। চলতি মাসে কেন্দ্রীয় বিদেশসচিব এবং ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারভানে দু-দিনের মায়ানমার সফরে গিয়েছিলেন। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে মায়ানমারের সাহায্যের প্রত্যাশায় তাঁদের ওই সফর ছিল। প্রত্যাশা মতোই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, জঙ্গি বিরোধী অভিযানে মায়ানমার সেনা ভারতকে সমস্ত ধরনের সহায়তায় প্রস্তুত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছিল। সেই লক্ষ্যে অপারেশন সানরাইজ-৩ চালু করেছে মায়ানমার সেনা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে মায়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যগুলিতেও ওই অপারেশন চালানো হবে। সাগাইং অঞ্চলে মায়ানমার সেনা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গি গোষ্ঠীর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাবে। এমন-কি মণিপুর নদীর পূর্ব দিকেও একই অভিযান জারি রাখবে মায়ানমার সেনা।
গত মে মাসে মায়ানমার সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ২২ জন উগ্রপন্থীকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের সহায়তায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মায়ানমার তৃতীয় দেশ। ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী দিল্লি।