নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর (হি.স.): কৃষকরা শক্তিশালী হলেই, তাঁদের আয় বৃদ্ধি পেলেই অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইও আরও শক্তি পাবে। কৃষক স্বার্থে ও অপুষ্টির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন খতিয়ান তুলে ধরে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার খাদ্য এবং কৃষি সংগঠনের ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৭৫ টাকার স্মারক কয়েন উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভকামনা। সমগ্র বিশ্বে অপুষ্টি দূরীকরণের জন্য যাঁরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, তাঁদেরও অভিনন্দন। ভারতের কৃষক, আমাদের কৃষি বিজ্ঞানী, অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীরা অপুষ্টির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ভীত। নিরন্তর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁরা যেমন দেশের অন্ন ভান্ডার ভরেছেন, তেমনই বহুদূরে দরিদ্রদের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সরকারকে সাহায্য করেছেন।
উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, অল্প বয়সে গর্ভধারন, শিক্ষার অভাব, জানার অভাব, শুদ্ধ জল না থাকা, স্বচ্ছতার অভাব-এ সবের জন্য অপুষ্টির লড়াইয়ে আমাদের যে প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া উচিত ছিল, তা আমরা পাচ্ছি না। মেয়েদের বিয়ের সঠিক কী হওয়া উচিত, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, অপুষ্টি মোকাবিলায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে। এখন দেশে সেই সমস্ত ফসলে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, যে সমস্ত ফসলে প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক প্রভৃতি থাকে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, গোটা বিশ্বে করোনা সংকটের মুহূর্তে অনাহার-অপুষ্টি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ভারতে বিগত ৭-৮ মাস ধরে প্রায় ৮০ কোটি দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে, দরিদ্রদের জন্য প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলিতে ভারতে উন্নত বীজ গবেষণা ও বিকাশে প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড সিস্টেম সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি কৃষক্ষেত্রে তিনটি বড় সংস্কার হয়েছে, দেশের কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের কৃষকরা যখন শক্তিশালী হয়ে উঠবেন, তাঁদের আয় বাড়বে, অপুষ্টির বিরুদ্ধে অভিযানও সমান শক্তি পাবে।