BRAKING NEWS

সেনা থেকে রাজনীতি, বর্ণময় ছিল যশোবন্ত সিং এর জীবন

নয়াদিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.): অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় অত্যন্ত দক্ষ এবং যোগ্য মন্ত্রী হিসেবে দেশকে সেবা করে গিয়েছিলেন যশোবন্ত সিং।লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে প্রথম এন ডি এ সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে সামলেছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ বিদেশমন্ত্রক, ২০০০ থেকে ২০০১ প্রতিরক্ষামন্ত্রক, ২০০২ থেকে ২০০৪ অর্থ মন্ত্রকের মত গুরুদায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ও সততার সঙ্গে সামলেছিলেন। ১৯৮০ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে প্রথমবার জাতীয় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ হয় যশোবন্ত সিং এর। সংসদে পাবলিক একাউন্ট কমিটির সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে রাজস্থানের চিত্তরগড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে সংসদ নির্বাচিত হন।ওই একই কেন্দ্র থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ লোকসভা নির্বাচনে জয় যুক্ত হন।১৯৯৬ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১৩ দিনের সরকারের অর্থমন্ত্রী হন যশবন্ত। নিজের বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনে তিনি চারবার লোকসভার সাংসদ এবং পাঁচবার রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন।তাকে বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।রাজনীতির মাধ্যমে দেশকে সেবা করবেন বলে সেনাবাহিনী থেকে আগাম অবসর নেন।ছয় এর দশকে রাজনীতিতে যোগদান করলেও জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপে আসেন আটের দশকে। দেশের বাণিজ্যের পরিস্থিতি আরো সুগম এবং সরল করে তোলার জন্য কাস্টম ডিউটি হার কমিয়ে দিয়ে ছিলেন তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন। ১৯৮০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাংসদ হিসেবে দেশকে সেবা করে গিয়েছিলেন। এমনকি যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান পদেও নিজের কাজের ছাপ রেখে গিয়েছেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে তার বাগ্মিতা আজও অনেকে ভোলেনি। বাণিজ্যিক সহ একাধিক বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সুগম করতে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডে ভারতীয় যাত্রীদের উদ্ধার করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর দলের অন্দরে সরব হয়ে ওঠেন যশোবন্ত।পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখার দাবি তুলতে থাকেন তিনি। শেষের দিকে দলের সঙ্গে তার দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। যদিও নিয়মিত তার খোঁজখবর রাখতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

যশোবন্ত সিং এর প্রয়াণে শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির

নয়াদিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.): যশোবন্ত সিং এর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। টুইট করে নিজের শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, বরিষ্ঠ সেনা আধিকারিক, উৎকৃষ্ট সাংসদ, অসাধারণ জননেতা এবং বুদ্ধিজীবী যশোবন্ত সিং এর প্রয়াণে অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। ধৈর্য সহকারে কঠিন কর্তব্য পালন করে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা রইল।
উল্লেখ করা যেতে পারে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে রবিবার সকালে রাজধানী দিল্লি সেনা হাসপাতলে সকাল ৬ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ বর্ষীযন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিং।  হাসপাতালে তরফ থেকে জানানো হয়েছে শারীরিক একাধিক অসুস্থতা নিয়ে গত ২৫ শে জুন থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২।

যশোবন্ত সিং এর প্রয়াণে টুইটারে আবেগঘন বার্তা শোকগ্রস্ত উপরাষ্ট্রপতির

নয়াদিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.): প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিং এর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।রবিবার নিজে টুইট বার্তায় উপরাষ্ট্রপতি লিখেছেন, প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী যশোবন্ত সিং এর প্রয়াণে গভীর ভাবে শোকাহত।তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন যিনি দেশকে অসাধারণ সেবা করে গিয়েছেন। দক্ষ প্রশাসক, অসাধারণ সাংসদ, সততার প্রতিমূর্তি ছিলেন তিনি। তার শোকগ্রস্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা রইল। তিনি প্রকৃত অর্থেই জননায়ক ছিলেন যিনি রাষ্ট্রকে বিভিন্ন ভাবে সেবা করে গিয়েছেন। সার্বজনীন জীবনে তার মরমী মনুষ্যত্ব চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রয়াত যশোবন্ত সিং, শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.): হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে রবিবার রাজধানী দিল্লির সেনা হাসপাতালে সকাল ৬ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিং।  হাসপাতালে তরফ থেকে জানানো হয়েছে শারীরিক একাধিক অসুস্থতা নিয়ে গত ২৫ শে জুন থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল।বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এদিন নিজের টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, নিষ্ঠার সঙ্গে দেশকে সেবা করে গিয়েছিলেন যশোবন্ত সিং। প্রথম একজন সেনাকর্মী হিসেবে পরে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মাধ্যমে। অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অর্থ, প্রতিরক্ষা এবং বিদেশমন্ত্রকে নিজের কাজের চাপ ছেড়ে গিয়েছেন।রাজনীতি এবং সমাজ জীবনের প্রতি তার অসাধারণ দৃষ্টিকোণ অনুকরণীয়। বিজেপিকে শক্তিশালী করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন।তাঁর পরিবারবর্গ এবং সমর্থকদের প্রতি সমবেদনা জানাই। 

যশোবন্ত সিং এর প্রয়াণে শোক প্রকাশ রাজনাথ সিং ও স্মৃতি ইরানির

নয়াদিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.):  বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিং এর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
রবিবার নিজের টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করে রাজনাথ সিং লিখেছেন, বুদ্ধিমত্তার পরিধি এবং দেশকে সেবা করার অসাধারণ নজির রেখে যাওয়ার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন যশোবন্ত সিং। রাজস্থানে বিজেপিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। দুঃখের এই সময় তার পরিবারবর্গ এবং অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা রইল।
 স্মৃতি ইরানি টুইট বার্তায় লিখেছেন, সেনাবাহিনী হোক বা রাজনীতি তিনি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেশকে সেবা করে গিয়েছেন। তার পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা রইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *