মুম্বই, ২৬ সেপ্টেম্বর (হি. স.): মাদক মামলায় করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনের প্রাক্তন ম্যানেজার ক্ষিতিশ রবি প্রসাদকে গ্রেফতার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) । প্রায় ২৭ ঘন্টা সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার ক্ষিতিশকে গ্রেফতার করে এনসিবি। ক্ষিতিশের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছে এনসিবি। ক্ষিতিশকে গ্রেফতারের পর করণ জোহরের ঝামেলা বাড়ছে। করন জোহরের বাড়িতে পার্টির ভিডিওটি তদন্ত করছে এনসিবি।
শুক্রবার করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের ডিরেক্টর ক্ষিতিশ রবি প্রসাদকে দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল । তবে তার আগেই গতকাল সাত সকালে ধর্মার এই কর্মচারীর বাড়িতে হানা দেয় এনসিবির একটি টিম। নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। প্রায় চার ঘন্টা ধরে ক্ষিতিশের বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালায় এনসিবি। এরপরই তাকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দেয় ব্যালাড এসস্টেডের অফিসে। জানা যায় ক্ষিতিশের বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে এনসিবি। এরপর ক্ষিতিশকে আটক করে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এনসিবির প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের প্রাক্তন এই এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার। সংস্থার আরও এক প্রাক্তন কর্মচারী অনুভব চোপড়াকেও গতকাল তলব করেছিল এনসিবি। রাতভর তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ চলে- তবে সকালে করণ জোহরের সংস্থায় কাজ করা এই সহকারী পরিচালকে ছেড়ে দেয় এনসিবি। আর ক্ষিতিশকে গ্রেফতার করা হয় ।
উল্লেখ্য, এর আগের বলিউডের মাদককাণ্ডে ধর্মা প্রোডাকশনের নাম জড়ানোর পর শুক্রবার রাতে সাফাই দেন করেন করণ জোহর। তিনি বলেন- ‘আমি অথবা ধর্মা প্রোডাকশন কেউই দায়ী নই কোনও মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে কী করছে তার জন্য। এটা ধর্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নয়। আমি আরও জানাই অনুভব চোপড়া ধর্মার অন্য কর্মচারী নন, ২০১১-১২ সালে উনি খুব অল্প সময়ের জন্য মাত্র দুই মাস ধর্মার একটি প্রোডাকশনে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। এবং ২০১৩ সালে একটি শর্ট ফিল্মের জন্য কাজ করেছিল অনুভব। এরপর থেকে ধর্মার আর কোনও প্রোডাকশনে অনুভব চোপড়া যুক্ত ছিল না। ক্ষিতিশ রবি প্রসাদ ধর্মাটিক এন্টারটেনমেন্ট (ধর্মার সহযোগী সংস্থা) যোগ দেয় ২০১৯-এর নভেম্বরে এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার হিসাবে- চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছিল তাঁর’। করণ জোহর আরও জানিয়েছেন- ‘আমি নিষিদ্ধ মাদক সেবন নিজে করি না, বা করবার বিষয়কে কাউকে সমর্থন বা এটির প্রচারও করি না’।