BRAKING NEWS

ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসনের বিরোধিতায় কাঞ্চনপুরে ১২ ঘন্টার বনধ সর্বাত্মক

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঢচনপুর/ আগরতলা, ২২ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্য সরকার কথা রাখেনি৷ স্থানীয় বিধায়ক ফিরেও তাকান না৷ এক রাশ ক্ষোভ নিয়ে আজ মঙ্গলবার ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসনের বিরোধিতায় কাঞ্চনপুর মহকুমায় ১২ ঘণ্টার বনধ পালন করেছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি (জেএমসি)৷ এই বনধ-এ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেছেন কমিটির কনভেনর সুশান্ত বিকাশ বড়ুয়া৷ কাঞ্চনপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিক্রমজিৎ শুক্লদাস জানিয়েছেন, বনধ-কে ঘিরে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ শান্তিপূর্ণ ভাবেই বনধ পালিত হয়েছে৷


প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এতে কেন্দ্রের সম্মতি মিলেছে এবং চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ পুনর্বাসনের প্যাকেজ হিসেবে কেন্দ্র ত্রিপুরা সরকারকে ৬০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে৷ সে মোতাবেক শর্ত মেনে ব্রু শরণার্থীদের ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু মাঝপথে সমস্ত পরিকল্পনা বদলে গেছে বলে দাবি করেছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি৷


কমিটির কনভেনরের কথায়, কাঞ্চনপুর মহকুমায় সবর্োচ্চ ৫০০ ব্রু শরণার্থী পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলে ত্রিপুরা সরকার আশ্বস্ত করেছিল৷ কারণ, মহকুমা জুড়ে স্থানীয়দের তুলনায় ব্রু শরণার্থীরা সংখ্যায় বেড়ে গেছে৷ তিনি বলেন, ব্রু শরণার্থীদের অত্যাচারে বহু বাঙালি পরিবার ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন৷ ঘর-বাড়ি ছেড়ে ভয়ে তাঁরা উদ্বাস্তুর জীবন-যাপন করছেন৷ অথচ, সরকার তাঁদের জন্য চিন্তা করছে না৷ উপরন্ত ব্রু শরণার্থীদের কাঞ্চনপুর মহকুমায় পুনর্বাসন দিতে চাইছে৷


তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ব্রু-দের কাঞ্চনপুরেই পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েছে৷ সংরক্ষিত বনভূমি-তে ত্রিপুরা সরকার ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আজ আমরা ১২ ঘন্টা বনধ পালন করছি৷ সাথে তিনি যোগ করেন, আমাদের এই আন্দোলনে মিজো কনভেনশন সমর্থন জানিয়েছে৷ এদিকে, আজ জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি এ-বিষয়ে কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেছে৷


সুশান্ত বিকাশ বড়ুয়া-র কথায়, শুধু সরকার নয়, আমাদের ভোটে জয়ী হয়ে আইপিএফটি বিধায়ক প্রেম কুমার রিয়াং আমাদেরকেই ভুলে গেছেন৷ তিনি আমাদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত ঠিকই৷ কিন্তু একদিনের জন্যও খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি৷ অথচ ব্রু শরণার্থীরা রেশনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের রাস্তা অবরোধের সময় প্রেম কুমার রিয়াং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন৷ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি৷ সুশান্তবাবু আক্ষেপ করে বলেন, স্থানীয় বিধায়ক আমাদের দিকে ফিরেও তাকান না৷ তাই আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *