তিরুবন্তপুরম, ৩০ জুলাই (হি. স.): সাহস দেখিয়েছে মোদী সরকার, নয়া শিক্ষানীতিকে স্বাগত জানিয়ে টুইটারে একথা বললেন তিরুবন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। বৃহস্পতিবার তিনি টুইটারে লেখেন, আমি খুশি যে মোদী সরকার অবশেষে সেই সাহসটা দেখিয়েছে, যতই সেটা করতে ছ’বছর সময় লাগুক না কেন।’ একইসঙ্গে একাধিক প্রশ্নচিহ্নও তুললেন।
বৃহস্পতিবার একাধিক টুইটবার্তায় ইউপিএ-২ জমানায় মানবসম্পদ ও উন্নয়নের রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানবসম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রকে আমার সময় থেকেই ১৯৮৬ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিকে সংশোধন করে একবিংশ শতাব্দীতে আনার পক্ষে তদ্বির করেছিলাম। আমি খুশি যে মোদী সরকার অবশেষে সেই সাহসটা দেখিয়েছে, যতই সেটা করতে ছ’বছর সময় লাগুক না কেন।’
অপর একটি টুইটবার্তায় কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কের ঘোষিত নয়া শিক্ষানীতির যতটা আমরা দেখেছি, তাকে স্বাগত জানানোর যথেষ্ট পরিসর আছে। আমরা কয়েকজন যে সুপারিশ করেছিলাম, তার অনেকগুলিই নেওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’ তবে কী কারণে সেই শিক্ষানীতি আগে সংসদে পেশ করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সাংসদ।
থারুরের বক্তব্য, উদ্যোগ ভাল হলেও মূল বিষয়টি হল সেগুলির প্রণয়ন। আর সেখানেই খামতি থেকে যায়। তিনি বলেন, ‘যেমন শিক্ষায় জিডিপির ছ’শতাংশ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত প্রথম নেওয়া হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। প্রতিটি সরকার সেই লক্ষ্যমাত্রা নেয় এবং যা নিজের অর্থ মন্ত্রকের বিরুদ্ধে হয়ে যায়। গত ছ’বছরে শিক্ষাখাতে মোদী সরকারের বরাদ্দ ক্রমশ নিম্নমুখী হয়েছে, তাহলে তা কীভাবে ৬ শতাংশে পৌঁছাবে?’
একইসঙ্গে নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থারুর বলেন, ‘সার্বিকভাবে, আমার উদ্বেগ হল, নয়া শিক্ষানীতিতে কেন্দ্রীয়করণের জোরালো প্রবণতা, কম সম্ভাবনার সঙ্গে উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখা গিয়েছে এবং না বলা একটা কথা ফুটে উঠেছে যে অধিকাংশ বিষয় পূরণ করতে পারবে বেসরকারি ক্ষেত্র। যা (শিক্ষার) খরচ বাড়াবে এবং অনেক সুযোগ গরিবদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে।’