শিলচর (অসম), ২৮ জুলাই (হি.স.) : এবার করোনার কাটায় বিদ্ধ হয়েছেন অসম বিধানসভার উপাধ্যক্ষ তথা কাছাড় জেলার অন্তর্গত সোনাইয়ের বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর। তাঁকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হচ্ছে৷ বরাক উপত্যকায় আমিনুল হক দ্বিতীয় কোভিড আক্রান্ত বিধায়ক৷ এর আগে পাথারকান্দির বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল কোভিড সংক্রমিত হয়েছিলেন৷
জানা গেছে, গত দুদিন ধরে আমিনুল হকের শরীরে জ্বর ছিল। জ্বরের উপসর্গে দুর্বল অনুভব করছিলেন তিনি।। এর জন্য আজ মঙ্গলবার তিনি ও তাঁর পরিবারের সব সদস্য রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করান৷ এতে উপাধ্যক্ষ তথা বিজেপি বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর এবং তাঁর সরকারি গাড়ি চালকের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। তবে তাঁর পরিবারের অন্য কারও কোভিড টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট আসেনি।
এদিকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু উপাধ্যক্ষ আমিনুল হকের দেহে জ্বর সহ অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে তাই তাকে এখানেই ভরতি করে চিকিৎসা করা হবে। বর্তমানে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা যথেষ্ট ভালো। শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায় জানিয়েছেন, উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্করের কিছুটা ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় উপসর্গ রয়েছে। পাশাপাশি তিনি ডায়াবেটিসের রোগীও। বাড়িতেই নিজেকে আলাদা করে রেখেছিলেন। আজ সময়মতো টেস্ট করিয়েছেন। শীঘ্রই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে জনসেবার কাজে জোগ দেবেন বলে আশাবাদী সাংসদ।
উল্লেখ্য, বরাক উপত্যকায় এর আগে পাথারকান্দির বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল এবং সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দুজনেই সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁকে নিয়ে অসমে বিজেপির পঞ্চম বিধায়ক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা দিশপুরের বিধায়ক অতুল বরা, বরক্ষেত্ৰীর বিধায়ক নারায়ণ ডেকা এবং শদিয়ার বিধায়ক বলীন চেতিয়া কোভিড-১৯-এ আক্ৰান্ত হয়েছিলেন।
এদিকে আমিনুল হক লস্করের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিজেপির জেলা কমিটির পক্ষে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নেননি উপাধ্যক্ষ। তাই তাঁর শরীর থেকে ভাইরাস ছড়ানোর কোনও ভয় নেই। সুতরাং জনসাধারণকে তাঁকে নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন রাখা হয়েছে।