নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুলাই৷৷ সীমান্ত এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউনে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে৷ আগাম ঘোষণা ছাড়াই লকডাউনের সীমানা নির্ধারণের ব্যবসায়ী-রা লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এমনিতে, সারা ত্রিপুরায় কঠোরভাবে লকডাউন পালন করা হচ্ছে৷ করোনা মোকাবিলায় আজ থেকে ত্রিপুরায় পুর নিগম এলাকায় সীমান্তে ৫০০ মিটার এবং গ্রামীণ এলাকায় ১ কিমি এলাকা জুড়ে সম্পূর্ণ লক ডাউন লাগু হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় করোনা-র প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে৷ ফলে, ত্রিপুরা সরকার লকডাউন কঠোরভাবে পালনে নির্দেশিকা জারি করেছে৷
আজ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে পুর নিগম এলাকায় ৫০০ মিটার এবং গ্রামীণ এলাকায় ১ কিমি এলাকা জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন লাগু হয়েছে৷ গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের বিজ্ঞপ্তি লাগানো হয়েছে৷ নিয়ম মাফিক সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক-কে সীমানা নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ সে মোতাবেক সমস্ত জেলা শাসক উদ্যোগ নিয়েছে৷ কিন্তু, পশ্চিম জেলায় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ আজ আগরতলায় গাঙ্গাইল এলাকায় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷
জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, সীমান্ত থেকে ৫০০ মিটার এলাকা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ প্রশাসনের তরফে আজ হঠাৎ সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে৷ তাতে দোকান খোলা যাচ্ছে না৷ তিনি বলেন, আগাম এ-বিষয়ে সূচনা দেওয়া হলে দোকানের কিছু জিনিষ বের করে আনতাম৷ এখন দোকানে পরে থেকে সেগুলি নষ্ট হবে৷ একই অভিযোগের সুর আরেক ব্যবসায়ী-র৷ তিনি বলেন, গতকাল রাতে একদিকে মাইকিং করেছে৷ আজ সকালে অন্যদিকে মাইকিং করেছে৷ তাতে, দুই দফায় দুই ধরনের বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ যা আমাদের বিভ্রান্ত করেছে৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল রাতে বিজ্ঞপ্তি লাগানোর সময়েও সকলে প্রশাসনের তরফে এ-বিষয়ে জানানো উচিৎ ছিল৷ তাদের বক্তব্য, লকডাউন পালনে আমরা সরকারের সহযোগিতায় প্রস্তুত৷ এদিকে, সীমান্তে টহল দেওয়ার জন্য আধা সামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে৷ তাছাড়া, পুলিশ ও টিএসআর বাহিনীও রয়েছে৷