সাব্রুমের কাঁঠালছড়ি সীমান্তে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুলাই৷৷  দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুমের কাঁঠালছড়িতে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে৷ আটক বাংলাদেশির নাম নুর আহমেদ৷ বাড়ি বাংলাদেশের রামগড় এলাকায়৷ ফেনী নদী অতিক্রম করে নূর মোহাম্মদ শাহ ৪ বাংলাদেশী  অনুপ্রবেশকারী ভোররাতে কাঁঠালছড়ি গ্রামে অনুপ্রবেশ করে৷ স্থানীয় লোকজন তাদের মধ্যে একজনকে  আটক করে উত্তম-মধ্যম দেন৷ অপর তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ আটক অনুপ্রবেশকারী যুবক গরু চোর বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ তাকে সাবরুম থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে শাবনম থানার পুলিশ৷

তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত থেকে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়৷ উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ বিএস আপকে সীমান্তে কঠোর নজরদারি বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণকেও বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ প্রশাসনের আহবানে সাড়া দিয়েই সাবরুম এর কাঁঠাল ছড়ি এলাকার জনগণ এক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছেন অপর তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে৷ উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে চলাকালেও সীমান্ত এলাকায় চুরি পাচার বাণিজ্য হয়েছে৷ সাবরুম এর কাঁঠাল চুরি সীমান্ত গ্রামে অনুপ্রবেশের ঘটনা তারই প্রমাণ বহন করে চলেছে৷ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের নজরদারি নিয়ম সীমান্ত এলাকার জনগণ নানা প্রশ্ণ তুলতে শুরু করেছেন৷ বিএসএফের ডিলেডালা নজরদারি ও টহলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি গরু চোর এবং অনুপ্রবেশকারীরা অনুপ্রবেশ করে নানা অঘটন সংঘটিত করে চলেছে৷ সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সীমান্ত পাচার বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে৷ তাতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ শুধু তাই নয় প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে যেভাবে অরুনা সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে অনুপ্রবেশের ঘটনা অব্যাহত থাকলে আমাদের রাজ্য ওড়নার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোরালো দাবি জানিয়েছেন কাঁঠালছড়ি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *