পনের জন্য উপজাতি রমনীকে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জুন৷৷  উপজাতি জনগণের মধ্যেও গার্হস্থ্য হিংসা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে৷ পণের দায়ে নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি সহ নানা অঘটন প্রতিদিনই ঘটে চলেছে৷



উপজাতি সমাজ ব্যবস্থায় এই ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ বেড়ে চলায় সমাজপতিরাও রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন৷ ধলাই জেলার ছৈলেংটা থানাধীন দুর্জয় রোয়াজা পাড়ায় এক উপজাতি গৃহবধূকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে৷ মৃত গৃহবধূর নাম বুলন্তি ত্রিপুরা৷ অভিযুক্ত স্বামীর নাম পলদা ত্রিপুরা৷ এই ব্যাপারে ছৈলেংটা থানায় সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা গৃহিত হয়েছে৷



পুলিশ অভিযুক্ত পলদা ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করেছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঘটনা বেশ কিছু দিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল৷ পারিবারিক কলহেকর জেরেই পলদা ত্রিপুরা তার স্ত্রী বুলন্তি ত্রিপুরাকে প্রচন্ড মারধর করে৷



 তাতে বুলন্তি ত্রিপুরা গুরুতর ভাবে আহত হয়৷ স্থানীয় লোকজনরা তাকে প্রথমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছামনু হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কুলাই জেলা হাসপাাতলে স্থানান্তর করা হয়৷ 



জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুলন্তি ত্রিপুরার মৃত্যু হয়৷ বুলন্তি ত্রিপুরার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ এদিকে অভিযুক্ত স্বামী পলদা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী৷