নয়াদিল্লি, ২৮ জুন (হি. স.): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় হওয়া উত্তেজনা এবং করোনার বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।
কেন্দ্রীয় সরকার, সবকটি রাজ্য সরকার এবং ১৩০ কোটি দেশবাসী সকলেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। বর্তমানে পরিসংখ্যানের নিরিখে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা ভাল। এক সাক্ষাত্কারে অমিত শাহ বলেন যে, শনিবার পর্যন্ত প্রতি ১০ লাখে ভারতে ৩৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।গোটা বিশ্বে এই সংখ্যাটা বিশ্বে ১২৫০ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫৬৯, ব্রিটেনে ৪৫৩৭, ব্রাজিলে ৫৮০২ জন। ২৫ মার্চ ভারতে রিকভারি রেট বা সুস্থ হয়ে ওঠার হার ছিল ৭.১ শতাংশ। কিন্তু এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে।এটি একটি খুব ভাল পরিস্থিতি। এ কারণেই আমি বলতে পারি যে উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারত এই যুদ্ধটি খুব ভালভাবে লড়াই করছে। দিল্লিতে কোন প্রকারের গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার কথায় তিনি নিজে এই বিষয়ে তিনজন বরিষ্ঠ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা গোষ্ঠী সংক্রমনের তত্ত্ব অস্বীকার করেছে।দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে সংঘবদ্ধভাবে করোনা মোকাবিলা করার জন্য পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। দ্রুততার সাথে এনসিআর অঞ্চলেও পরীক্ষা করা হবে।রাজধানীর হাসপাতালগুলির অবস্থা ভালো করার জন্য এমইসের সাথে টেলিফোনিক আলাপচারিতা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এছাড়াও তিনটি দল গঠন করেছি, দিল্লি সরকার এবং এইমসের চিকিৎসক ছাড়াও আইসিএমআর বিশেষজ্ঞও রয়েছেন।এই দলটি ঘাটতিগুলি সংশোধন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে সাড়ে পাঁচ লাখ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে। দিল্লি সরকার বলেছিল যে দিল্লির বাইরের লোকদের দিল্লিতে চিকিত্সা করা হবে না। তবে সিদ্ধান্তটি কেন্দ্রীয় সরকার বদলে দিয়েছে এবং রাজধানীর প্রত্যেকের জন্য চিকিত্সার অনুমতি দিয়েছে। ১৪ জুন দিল্লি সরকার, এমসিডি এবং কেন্দ্র সরকারের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা হয়েছে। কেন্দ্র সরকার করোনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারে ব্যাপক সহায়তা করতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞকে সহায়তা করা যেতে পারে, তাই আমরা এই সভাটি করেছি। আজ আমি বলতে পারি যে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সাড়ে ৫ লক্ষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার যে বিবৃতি, সেই পরিস্থিতি এখন দিল্লিতে আসবে না।অমিত শাহ বলেছেন যে, আমরা দিল্লিতে পরীক্ষার সংখ্যা প্রতিদিন ৪.৫ গুণ বাড়িয়ে দৈনিক ১৬,০০০ টেস্ট করছি। এতে করোনা রোগীদের সনাক্ত করার কাজ সহজ হবে। ৩০ জুনের মধ্যে কনটেইনমেন্ট জোনের প্রতিটি বাড়িতে সমীক্ষা করা হবে।
আমরা পরীক্ষাটি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছি। পরে দিল্লিতে ঘরে ঘরে সমীক্ষা করা হবে।আমি যখন এলএনজিপি হাসপাতালে গিয়েছিলাম তখন সেখানে সাড়ে তিনশো লাশ পড়েছিল। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে তাদের ধর্ম মতে সেই সকল লাশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।এখন সেখানে কোনও লাশ নেই। জরুরী ভিত্তিতে দিল্লি সরকারকে ৫০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ৪৪০ ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে। বাড়তি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলির সাথে যোগাযোগ করতে দিল্লি সরকারকে বলা হয়েছে।আগামী দিনে দিল্লিকে আরো বেশি সহযোগিতা করা হবে।যাদের দুই কামরার ঘর তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে বলা হয়েছে।