নয়াদিল্লি, ২২ জুন (হি. স.): সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। ভারত ও চিনের মধ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নির্ণয় নেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ রাখতে হবে সরকারকে। এই পদক্ষেপে ঠিক করে দেবে আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক কেমন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ড. মনমোহন সিং জানিয়েছেন, ১৫ জুন, সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে কুড়িজন সাহসী বীর জওয়ান জীবনের সর্বোচ্চ বলিদান দিয়ে গিয়েছে। দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য লড়েছিল। তাদের এই সর্বোচ্চ বলিদানের জন্য দেশবাসী চিরকাল ঋণী থাকবে। এই শহীদদের বলিদান যেন কোনও ভাবেই ব্যর্থ না হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, সময়ের এই পরীক্ষার মুখোমুখি আমাদের হতে হবে। দেশের অখন্ডতা রক্ষার্থে কর্নেল বি সন্তোষ বাবু সহ কুড়ি জন বীর জওয়ানের আত্মাহুতির মান যেন আমরা রাখতে পারি। সেটা না রাখতে পারলে ঐতিহাসিক জনাদেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।
মনমোহন সিং আরও জানিয়েছেন, ইতিহাসের এক স্পর্শকাতর মোড়ে এসে আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। যেখানে সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত এবং নির্ণয় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিশ্লেষণ করবে।বর্তমানে যারা দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের ঘাড়ে গভীর দায়িত্ব রয়েছে।গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সেই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর।দেশের সামরিক এবং ভূখণ্ডের হিতের প্রতি সজাগ থেকে খুব সতর্ক ভাবে ঘোষণা করার সময় শব্দচয়ন করতে হবে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং স্ত – তে চিনা সেনা যে একাধিকবার অনুপ্রবেশ করেছে তা মনে করিয়ে দিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভূখণ্ডের অখন্ডতা নিয়ে কোনভাবেই চিনের চাপের কাছে নতিস্বীকার করা হবে না। তাদের এই ষড়যন্ত্রকে রোধ করার জন্য সরকারকে সমস্ত দিক দিয়েই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।পরিস্থিতি যেন আরো ভয়ানক না হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করতে হবে। গোটা রাষ্ট্রকে সংঘবদ্ধ হয়ে যোগ্য জবাব দিতে হবে।বিভ্রান্ত করা প্রচার কোনোভাবেই কূটনৈতিক এবং শক্তিশালী সরকারের বিকল্প হতে পারে না।