নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ জুন৷৷ আনলক ১.০-এর শর্ত মেনে সোমবার থেকে দেশের সর্বত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেেেস্তাারাঁ, শপিংমল খুলেছে৷ তেমনি, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও খুলেছে আজ৷ লোকনাথ মন্দির, লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ি মন্দির, জগন্নাথ বাড়ি সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে৷ তবে বনমালীপুরের রামঠাকুর আশ্রম আজ ভক্তদের জন্য দরজা খুলেনি৷ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আশ্রম বন্ধ রাখা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন৷
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে সোমবার থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়ার পর পরই ভক্তকুল ধর্মীয় স্থানে যেতে শুরু করেছেন৷ তবে ধর্মীয় স্থানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ শর্ত অনুযায়ী, ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রত্যেককে মাস্ক ও সেনিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং ৬ ফুট দূরত্ব মানতে হবে৷ নির্দেশিত নিয়ম না মানলে ধর্মীয় স্থানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না৷ সাথে শর্ত রয়েছে, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান খোলা হলেও ব্যাপক জনসমাগম করতে দেওয়া হবে না৷ সেখানে প্রসাদ বিতরণেরও কোনও ব্যবস্থা থাকবে না৷
এদিকে, গোমতি জেলার উদয়পুরে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরও সোমবার সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে৷ সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির খোলা থাকবে৷ সোমবার সকালে মন্দির খোলার পর থেকেই ভক্তদের সমাগম বাড়তে শুরু করেছে৷ লকডাউন-এর জন্য টানা ৭৬ দিন পর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে৷ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির খুলে দেওয়া হলেও ভক্তদের ভিড় এড়াতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ যাবতীয় বিধিনিষেধ মান্য করে ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷
অন্যদিকে, আনলক ১.০-এর শর্ত অনুযায়ী রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন শপিংমল এবং হোটেল-রেেেস্তাারাঁ খোলার অনুমতি দেওয়ার পর সেখানেও স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে৷ শপিংমল, হোটেল-রেেেস্তাারাঁ খোলা হলেও ক্রেতাদের ভিড় তেমন পরিলক্ষিত হচ্ছে না৷ সর্বত্রই এক আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে৷