নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল ৷৷ চাকুরিচ্যুত ১০,৩২৩ এডহক পে শিক্ষক সংগঠনের কর্মকর্তারা সোমবার পশ্চিম থানার ওসির কাছে ডেপুটেশান ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে৷ সংগঠনের সভাপতি বিমল সাহা সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতেই এই ডেপুটেশন প্রদান৷ অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে দাবি জানিয়েছে এডহক পে শিক্ষক সংগঠন৷ সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৩১শে মার্চ ১০,৩২৩ এডহক পে শিক্ষকদের চাকুরির সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে৷
এইসব শিক্ষকরা চাকুরিতে পুনরায় নিযুক্তির দাবিতে আন্দোলনে বহাল রয়েছেন৷ লকডাউন ঘোষণার আগেই শিক্ষকরা আরএমএস চৌমুহনিতে লাগাতার গণবস্থানে শামিল হয়েছিলেন৷ সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে ১৪৪ ধারা জারি করে তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য করেছিল৷ তারপরও গত ২০ মার্চ তারা রবীন্দ্র ভবনের সামনে কয়েকজন জমায়েত হয়েছিলেন৷ এই জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাজ্য আরক্ষা প্রশাসন৷ জমায়েত করার দায়ে সংগঠনের সভাপতি বিমল সাহা সহ ৭-৮ জনের নামে নোটিশ পাঠানো হয়েছে৷ এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতেই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সোমবার পশ্চিম থানায় এসে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্টীকরণ চান৷ তখনই পশ্চিম থানার ওসি জানান, গত ২০ মার্চ পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে রবীন্দ্র ভবনের সামনে জমায়েত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই মামলা গৃহীত হয়েছে৷
এডহক পে শিক্ষক সংগঠন মামলা প্রত্যাহার করে নিতে দাবি জানিয়েছে৷ পাশাপাশি মে মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারকে ১০,৩২৩ এডহক পে শিক্ষকদের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করতে জোরালো দাবি জানিয়েছে৷ অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷ ১০,৩২৩ এডহক পে শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিমকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছে৷ লকডাউন চলায় এখনও পর্যন্ত পিটিশনের উপর শুনানি হয়নি৷ রাজ্য সরকার অশিক্ষক পদে তাদেরকে নিয়োগের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে৷ এক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের অনুমোদনের জন্যই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পিটিশন করা হয়েছে৷