নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল৷৷ জোড়া ফলায় বিদ্ধ ত্রিপুরা৷ একদিকে করোনা-র প্রকোপ, অন্যদিকে প্রকৃতির রুদ্ররূপ৷ তাতে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ত্রিপুরাবাসী৷ গতকালের কালবৈশাখীর ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা৷ এ ঘটনায় ২৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ সেগুলোতে ১,৬৯৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে৷ এখন পর্যন্ত খবর, ৩,৫৫৪টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আরও রিপোর্ট সংগ্রহাধীন বলে জানিয়েছেন রাজ্য দুর্যোদ মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর করেছেন৷ ত্রাণ সামগ্রী এবং ক্ষতিপূরণের অর্থ ব্যবস্থা করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন৷
এ ঘটনায় ২৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ সেগুলোতে ১,৬৯৫টি পরিবারের ৪,৫৯৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন৷ এখন পর্যন্ত খবর, ৩,৫৫৪টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ আরও রিপোর্ট সংগ্রহাধীন বলে জানিয়েছেন রাজ্য দূর্যোদ মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর করেছেন৷ ত্রাণ সামগ্রী এবং ক্ষতিপূরণের অর্থ ব্যবস্থা করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন৷
রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কালবৈশাখীর ঝড়ে ১৫৬টি বাড়ি সম্পূর্ণ, ২০৫৩টি মারাত্মকভাবে এবং ১৩৪৫টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এদিকে, সিপাহীজলা জেলায় বিশালগড় মহকুমায় ৫টি এবং জম্পুইজলা মহকুমায় ১২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ অন্যদিকে, খোয়াই জেলায় কল্যাণপুর ব্লকে ৪টি এবং তেলিয়ামুড়া মহকুমায় ৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ ওই ত্রাণ শিবিরগুলিতে ১৬৯৫ পরিবারের ৪৫৯৭ জন আশ্রিত রয়েছে৷ এদিকে, সিপাহীজলা জেলায় জম্পুইজলা মহকুমায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২০ পরিবার-কে প্রতি পরিবার ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া বিশালগড় মহকুমায় বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্তদের ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷ তাতে মোট ২৭২১টি বাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার রিপোর্ট এখন পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে৷ তবে আরও রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ কৃষিতে ক্ষতির পরিমান নিরূপণ হচ্ছে৷ তাতে, কিছুটা সময় লাগবে বলে দফতর সূত্রে জানা গেছে৷
আজ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বাইদ্যাদিঘি, পাতালিয়া পঞ্চায়েত, বাতিলামা, সিপাহিজলা সুকল, নব শান্তিগঞ্জ, টাকারজলা, নারায়ণ খামার এবং কল্যাণপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর করেছেন৷ তাঁর সাথে স্থানীয় বিধায়কগণ এবং পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক ওই সমস্ত এলাকা সফর করেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে ত্রাণ সামগ্রী বণ্টন এবং ক্ষতিপূরণের অর্থ শীঘ্র বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন৷