BRAKING NEWS

পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত আরও দুই, সংখ্যা বেড়ে ১৭

কলকাতা, ২৮ মার্চ (হি.স.) : পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই। ফলে শনিবার করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ জন । দুজনেই দিঘার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই এই দুজনের । তবে মনে করা হচ্ছে দুজনেই করোনা সংক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন।    

আতঙ্ক বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে বাড়ল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা । শনিবার নতুন করে দু’জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে । তাঁরা এগরার হাসপাতালে আইসোলেশনে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দু’জনেরই লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই দু’জনকে এগরা থেকে বেলেঘাটা আইডিতে আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

দিঘার বাসিন্দা এই দুজনের কেউই বিদেশ যাননি । তবে রাজ্যের দশম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অর্থাৎ নয়াবাদের ব্যক্তি এগরার যে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে এনারাও ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেখান থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এবিষয়টি সঠিক বলে পরিষ্কার নয় । সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

আজ নতুন করে দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭। রাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন লন্ডনফেরত এক তরুণ। দ্বিতীয় আক্রান্ত তরুণও লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন। তৃতীয় আক্রান্ত তরুণী ফিরেছিলেন স্কটল্যান্ড থেকে। এর পর দমদমের এক প্রৌঢ়ের শরীরে মেলে করোনাভাইরাসের প্রমাণ। চতুর্থ আক্রান্ত এই ব্যক্তি পরে সল্টলেকের একটি হাসপাতালে মারা যান।

এর পর করোনাভাইরাসের প্রমাণ মেলে দ্বিতীয় আক্রান্ত তরুণের বাবা-মা এবং এক পরিচারিকার শরীরে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় পাঁচ, ছয় এবং সাত নম্বরে ছিলেন তাঁরা। আট এবং নয় নম্বরে ছিলেন মিশর এবং লন্ডনফেরত দু’জন। এর পর নয়াবাদের এক বৃদ্ধের শরীরে করোনাভাইরাস মেলে। তিনি ছিলেন ১০ নম্বরে। এর পর শুক্রবার তেহট্টের পাঁচ জনের শরীরে মেলে করোনাভাইরাস।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ১০ হাজার জনকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে। সে দিকেও নজর রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *