BRAKING NEWS

কুমারঘাট হাসপাতালে ডাক্তার-নার্সদের জন্য নেই মাস্ক, বাড়ছে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ২২ মার্চ ৷৷ কুমারঘাট সরকারি হাসপাতালের নার্স সহ অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য হাসপাতালে নেই সরকারিভাবে কোনো মাক্স বা সেনিটাইজারের ব্যবস্থা৷ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেলো বিনা মাক্সেই ডিউটি করতে হচ্ছে কর্তব্যরত নার্সদেরকে৷ যারা রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন বা করোনা থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে রাজ্যের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সেই স্বাস্থ্য কর্মীরাই হাসপাতালে করোনা থেকে রেহাই-এর প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলি না পেয়ে চরম আতঙ্কে তাদের কর্তব্য পালন করছেন৷


নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বর্তমানে গোটা দেশবাসী আতঙ্কিত৷ এই ভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে ত্রিপুরাতেও৷ এর ছোয়া থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকরা যখন সাধারণ মানুষকে ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাক্স ব্যবহার সহ অন্যসব পরামর্শ দিচ্ছেন ঠিক তখনই কুমারঘাট সরকারি হাসপাতালে দেখা গেলো হাসপাতালের নার্স সহ অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্যই হাসপাতালে নেই সরকারিভাবে কোনো মাক্স বা সেনিটাইজারের ব্যবস্থা৷ হাসপাতালে নিয়ে দেখা গেলো বিনা মাক্সেই ডিউটি করতে হচ্ছে কর্তব্যরত নার্সদেরকে৷ এ বিষয়ে হাসপাতালের এমওআইসি চিকিৎসক অলক দেওয়ানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, হাসপাতালের এই সময়েও সরকারিভাবে হেন্ডওয়াস সেনিটাইজারের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি নিজেদের থেকেই তাদের এসব কিছু কিছু ব্যবহার করতে হচ্ছে৷ করোনা মোকাবিলায় হাসপাতালে নেই কোনো ব্যবস্থা৷


তাছাড়া করোনাতঙ্কে যখন বিভিন্ন অফিস কাছাড়িতে বর্তমানে প্রবেশ করতে গেলে অন্তত হাত ধুয়ে প্রবেশের মতো ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে সেই জায়গায় দেখা গেলো যেখান থেকে সবচাইতে বেশি ইনফেকশন ছড়ানোর ব্যাপার থাকে সেই হাসপাতালে আসা রোগীদের হাত ধোয়ার জন্যও কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি৷ এদিকে কুমারঘাট হাসপাতালের এমওআইসি জানিয়েছেন কুমারঘাট হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত নেই যার ফলে কুমারঘাট শহর এলাকায় দু’জন ব্যক্তিকে সন্দেহ হওয়ায় উনারা তাদেরকে বাড়ি থেকে না বেরোনো সহ অন্য সব নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন৷ যারা রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন বা করোনা থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে রাজ্যের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সেই স্বাস্থ্য কর্মীরাই হাসপাতালে করোনা থেকে রেহাই-এর প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলি না পেয়ে চরম আতঙ্কে তাদের কর্তব্য পালন করছেন৷ সরকার কি নজর দেবে এসবের দিকে? উঠছে প্রশ্ণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *