নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মার্চ৷৷ ভালবাসার দাবি নিয়ে এবার প্রেমিকা হাজির হলেন প্রেমিকের দরজায়৷ তাও আবার গলায় ভালবাসার দাবি লেখা প্লেকার্ড ঝুলিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ৪ ঘন্টা ধর্ণা দিয়ে শেষে বিয়ে করেই ছাড়লেন৷ ধলাই জেলার কমলপুর মহকুমায় হারেরখোলা এলাকায় ওই ঘটনায় দারুন সাড়া পড়েছে৷ ঠাকুরবাড়িতে বিয়ে করার পর নবদম্পতিকে ভীষণ হাসিখুশি দেখিয়েছে৷
কমলপুর মহকুমায় মধ্যপাড়ার বাসিন্দা অনিল মজুমদারের মেয়ে সোমা মজুমদার এবং হারেরখোলা ব্রজেন্দ্র দাসের ছেলে ধর্মেন্দ্র দাসের মধ্যে তিন বছর ধরে প্রণয়ের সম্পর্ক৷ কিন্তু, সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছিল৷ মনোমালিন্যের কারণে ধর্মেন্দ্র সোমা-কে বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়৷ এরপর আজ ধর্মেন্দ্র-র বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হন সোমা৷ ভালবাসার দাবি জানিয়ে গলায় প্লেকার্ড ঝুলিয়ে আসেন তিনি৷
ধর্মেন্দ্র দাস পেশায় ফটোগ্রাফার৷ তাঁর একটি ষ্টুডিও রয়েছে৷ আজ সোমা তার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলে বেকায়দায় পরে যান ধর্মেন্দ্র৷ কারণ, দ্বাদশ পরীক্ষার্থী সোমা হুমকি দিয়ে বলেন, ধর্মেন্দ্র তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া তার অন্য কোন পথ খোলা নেই৷ ফলে, সামাজিক মর্যাদা এবং আইনি ঝামেলার হাত থেকে বাঁচার জন্য সোমা-কে বিয়ে করে উচিত হবে বলে রাজি হয়ে যান ধর্মেন্দ্র৷ ৪ ঘন্টার ধর্ণার পর সোমা-কে নিয়ে কমলপুর কালীবাড়িতে মালাবদল করেন ধর্মেন্দ্র৷ সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন নবদম্পতি৷ এদিনের ঘটনা নিয়ে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী কেউই মুখ খুলেননি৷ তবে, তাদের ভীষণ হাসিখুশি দেখাচ্ছিল৷