নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মার্চ৷৷ করোনাতঙ্কে ত্রিপুরায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে৷ শুধু তা-ই নয়, সিনেমা হল, সুইমিং পুল এবং জিমনাশিয়ামও ওই সময়কালে বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ পাশাপাশি সমস্ত জেলা শাসককে ৮ জেলায় ১৪৪ ধারা লাগু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এতে বড় জমায়েত আটকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে ত্রিপুরা সরকার৷
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব করোনা ভাইরাস সম্পর্কে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন৷ ত্রিপুরায় করোনা ভাইরাস যাতে কোনওভাবেই ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেই লক্ষ্যে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এ-বিষয়ে আজ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরার মুখ্যসচিব মনোজ কুমার বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত সুকল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সিনেমা হল, সুইমিং পুল এবং ব্যায়ামাগার বন্ধ থাকবে৷ তবে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বন্ধ হবে না৷
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির হোস্টেল ২১ মার্চের আগে খালি করতে হবে৷ কারণ, ২১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত হস্টেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ছেলে-মেয়েদের হস্টেল থেকে নেওয়ার জন্য অভিভাবকদের কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে৷ এদিন তিনি আরও জানান, সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে৷ এক্ষেত্রে রেশন সামগ্রী অভিভাবকরা বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন৷ এছাড়া গর্ভবতী মহিলারাও রেশন সামগ্রী বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন৷
মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বড় জমায়েত ত্রিপুরায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এ-নিয়ে দুবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও কিছু কিছু স্থানে জমায়েত লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ তাই, আট জেলাশাসককে সংশ্লিষ্ট জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তাতে, বড় জমায়েত বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি৷ এদিকে, বিদেশ ভ্রমণ, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং মেলা ও উৎসব উদযাপনে হ্রাস টানার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল৷ ওই সব বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ওইসব কার্যক্রম ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিস্থিতিই চলবে৷
তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস দুযর্োগ মোকাবিলা আইনের ৫৪ ধারা অনুযায়ী দুযর্োগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ সে-ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ালে কিংবা মানুষকে বিভ্রান্ত করলে, তা অপরাধ বলে গণ্য হবে৷