নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মার্চ৷৷ লাগাতার আন্দোলনে নাছোড়বান্দা অ্যাডহক শিক্ষকরা ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও তাঁরা গণ-অবস্থান থেকে সরে আসবেন না৷ এরই সাথে, আগামীকাল থেকে লাগাতার গণ-ধরনায় শামিল হবে অ্যাডহক শিক্ষকদের অপর এক সংগঠন আমরা ১০৩২৩৷ ফলে, অ্যাডহক শিক্ষকদের বিক্ষোভকে ঘিরে ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বড় জমায়েত বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যে ত্রিপুরার আট জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷
এ-বিষয়ে গত ১৪ মার্চ থেকে লাগাতার গণ-অবস্থানে শামিল অ্যাডহক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি বিমল সাহা বলেন, ৩১ মার্চ আমাদের চাকরি থেকে বিদায় নিতে হবে৷ কিন্তু, আজ পর্যন্ত ত্রিপুরা সরকার অ্যাডহক শিক্ষকদের চাকরির ব্যাপারে নিশ্চিয়তার কোনও পথ খুঁজে বের করেনি৷ শুধু তা-ই নয়, আমাদের দাবি মেনে ভেলিডেশন অ্যাক্ট চালু করার বিষয়েও কোনও হেলদোল লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ তাই, লাগাতার গণ-অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমাদের সরে আসার কোনও প্রশ্ণই ওঠে না, সাফ জানালেন তিনি৷ বিমলবাবুর কথায়, আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে৷ তাই, আন্দোলন থেকে সরে আসব না৷ ত্রিপুরা সরকার ১৪৪ ধারা জারি করলেও আমাদের গণ-অবস্থান জারি থাকবে৷
একই কথা জানালেন আমরা ১০৩২৩ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷ সংগঠনের জনৈক কর্মকর্তা ডালিয়া দাস বলেন, আগামীকাল প্যারাডাইস চৌমুহনিতে সিটি সেন্টারের সামনে লাগাতার গণ-অবস্থানে বসব আমরা৷ এই সিদ্ধান্ত থেকে আমরাও নড়ছি না৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাসের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৪৪ ধারা জারি করলেও আমরা গণ-অবস্থান কর্মসূচি পিছিয়ে দিচ্ছি না কিংবা স্থগিতও করছি না৷ স্বাভাবিকভাবে, চাকরির জন্য অ্যাডহক শিক্ষকদের দুই সংগঠনের আন্দোলনে আগামীকাল আগরতলার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷