মুম্বই, ১৬ মার্চ (হি.স.) : আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে তা দিয়ে আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব কাটাতে সুদের হার কমানোর পথে হাঁটছে না আরবিআই ৷ সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ৷
করোনা মাহামারীর জেরে বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের আঁচ থেকে ভারতীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রস্তুত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া । গঠনমূলক ও কার্যকরী নীতি রুপায়িত হয়ে আছে। যখন প্রয়োজন সেই নীতি লাগু করা হবে। সোমবার জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেছেন, করোনা মহামারীর জেরে বিশ্ব বাজারে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়গে নারাজ বিনিয়োগকারীরা। ফলে নষ্ট হচ্ছে স্থিতাবস্থা।
সোমবারও শেয়ার বাজার ৮% পতন দেখেছে। বাজারের এই অবস্থায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নিয়ে গভর্নরের ইঙ্গিত, ” পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ব্যাঙ্ক। সুদের হার বাড়ানো কিংবা কমানো হবে কিনা, তা আগামিদিনের পরিস্থিতি বিচার করবে।
বাজারে নগদ জোগান বাড়াতে আরও একপ্রস্থ অর্থ বিনয়গের পথে হাঁটছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২৩ মার্চ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে ব্যাঙ্কগুলোতে। পাশাপাশি রেপো অপারেশন থেকে ১ লক্ষ কোটি জোগান দেওয়া হবে। যদি বাজারে চাহিদা তৈরি হয়। স্পষ্ট করেছেন গভর্নর।
নীতি নির্ধারক সংস্থাগুলোকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। একথা জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস বলেন, এক রাতের মধ্যে ফেডেরাল ব্যাঙ্ক ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে সুদের হার । ফলে বাজারে নগদের জোগান বাড়ানো সম্ভব হবে বলে খবর।
গ্রাহক চাহিদা তলানিতে থাকায় এবং আর্থিক মন্দার প্রভাবে ভারতের জিডিপি ১০ বছরে সর্বনিম্ন ৪.৭% ছুঁয়েছে। অর্থ মন্ত্রক চলতি অর্থবর্ষের শেষে এই মাত্রা ৫% ধার্য করেছে। ২০০৮-০৯ সালের বিশ্বমন্দার প্রেক্ষিতে এই হার সর্বনিম্ন, দাবি অর্থনীতিবিদদের। এদিন এবিষয়ে শক্তিকান্ত দাশ বলেন, রিজার্ভ ব্যাংকের প্রতিক্রিয়াগুলি শক্তির পরিমাপ করেছে এবং নিশ্চিত হয়েছে যে যে সিদ্ধান্তই রিজার্ভ ব্যাংক নিক না কেন তাতে পছন্দসই এবং সর্বোত্তম প্রভাব পড়বে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন বহু উন্নত দেশ সুদের হার কমানো পথে হাঁটলেও তিনি এদিন তেমন কিছু ঘোষণা করেননি৷
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ এইএস ফেডারেল ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে প্রায় শূণ্যের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছেন যাতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মার্কিন অর্থনীতিতে আটকানো যায়৷ তাছাডা় ইউএস ফেড ৭০০বিলিয়ন ডলারের ট্রেজারি বন্ড এবং জামিনে থাকা সিকিউরিটিস৷
ব্যাংক অফ জাপানও সোমবারে দ্বিগুণ পরিমাণে কিনেছে ইটিএফ এবং বাড়িয়ে দিয়েছে কর্পোরেট বন্ড এবং কমার্শিয়াল পেপার৷ ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশসহ রিজার্ভ ব্যাংকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা বড বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের প্রধানদের সঙ্গে দেখা করেন৷ সেই সব বৈঠকে আলোচনার সময় গুরুত্ব পেয়েছে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির কথা ৷