নয়াদিল্লি, ১৬ মার্চ (হি.স.) : রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) এর কার্যকারী মন্ডলের বৈঠকে সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়টি পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয় যে রাষ্ট্রীয় স্বাভিমানের প্রতীক হচ্ছে রাম মন্দির। সঙ্ঘ অপর যে দুইটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন সেগুলি হল জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতীয় সংবিধান পুরোপুরি কার্যকর করা এবং উপত্যকার পুনর্গঠন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে(সিএএ) স্বাগত জানিয়ে এটিকে ভারতের নৈতিক এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে অভিহিত করেছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, করোনাভাইরাস রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেঙ্গালুরুতে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে কয়েক জন বাছাই করা প্রতিনিধিদের নিয়ে রাম মন্দির, সিএএ এবং জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলি পাশ হয়।
সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকারী মন্ডলের তরফে জানানো হয়েছে যে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত সর্বসম্মতিক্রমে যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে মন্দির গড়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাঁধা রইল না। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দেশের শীর্ষ আদালত অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে যে রায় দিয়েছে দেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্দিরে নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলেই সমাজে মর্যাদা, সৌভ্রাতৃত্ববোধ, একাত্ববোধ, মর্যাদাপুরুষোত্তম রামের জীবনার্দশের মতো জীবনযাপন করতে অনুপ্রাণিত হবে সাধারণ মানুষ। গোটা বিশ্বে ভারত শান্তি, সৎভাবনা, সমন্বয় গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি এবং উপত্যকায় ভারতীয় সংবিধান জারি করার ক্ষেত্রে সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকারী মন্ডল মনে করে এটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। যে সকল রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তাদের পরিপক্কতা রয়েছে বলে মনে করে সঙ্ঘ। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সহযোগীরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরে সেখানকার সামাজিক এবং আর্থিক বিকাশের নতুন দরজা খুলে যাবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকারী মন্ডল মনে করে যে নাগরিকত্ব আইনকে সংশোধন করে সরল বানিয়েছে কেন্দ্র। এই আইন কোনও মানুষের নাগরিকত্ব হরণের জন্য নয়। নাগরিকত্ব দেওয়ার। পাশাপাশি সিএএ-র বিরুদ্ধে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে তার নিন্দা করে দাবি করা হয়েছে যে সমাজের একতা এবং সম্প্রীতি বোধকে খন্ডন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।