বাগবাসা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্যা ব্যবসার গুরুতর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৫ ফেব্রুয়ারী৷৷ শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড৷ শিক্ষক শিক্ষা প্রদান করে থাকেন৷ কিন্তু শিক্ষক অধ্যাপকরা যখন শিক্ষার বদলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত গঠনে হুমকি দিয়ে শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করে থাকেন তখন সে সমাজে অন্ধকার ছাড়া আর আলোর দেখা মিলেনা৷
ঘটনা উত্তর জেলার বাগবাসা স্থিত পলিটেকনিকটেল কলেজের৷ সেই কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রসূন দত্তের অনৈতিক ব্যবহারে নাজেহাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা৷পরীক্ষায় পাশ করতে হলে উনার কাছে প্রাইভেট টিউশন নেওয়া বাধ্যতা মূলক এমনি উনার বক্তব্য৷ প্রতি সেমিস্টারে উনার প্রাইভেট টিউশন চার্জ ৭৫০০ টাকা৷


এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে হাতেনাতে ধরাপরে যান প্রসূন বাবু৷ একটা সময় উনি সাংবাদিকদের কাজেও বাধাদানে চেষ্টা করেন৷ শেষমেশ উনি টিউশন সেন্টার ছেড়ে পালিয়ে যান৷
কিন্তু প্রশ্ণ হচ্ছে যেখানে সরকারি শিক্ষক অধ্যাপকদের প্রাইভেট টিউশন করা সম্পূর্ণ অবৈধ৷ পাশাপাশি সরকারি শিক্ষক অধ্যাপকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে বর্তমান সরকার কড়া হুঁশিয়ারি জারি করেছেন৷ সেখানে প্রসূন বাবু সরকারি আইনকে তোয়াক্কা না করে অবাধে তার প্রাইভেট টিউশনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ উনার এই অনৈতিক অবৈধ কাজে রাজ্যের শিক্ষক সমাজ যেমন কলঙ্কিত হচ্ছে৷

ঠিক তেমনি যে সকল উচ্চ শিক্ষিত বেকারা কর্মসংস্থানের তাগিদে প্রাইভেট টিউশন করে জীবিকা অর্জনের পথ বেছে নিয়েছে তাদের রুটি রোজিও আজ প্রসূন দত্তের কারনে সংঙ্কটে৷ কেননা পলিটেকনিক কলেজের প্রিন্সিপাল যখন সরাসরি ছাত্রদের উনার কাছে প্রাইভেট টিউশন নেওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করেছেন৷ সে ক্ষেত্রে কোন ছাত্র-ছাত্রীই এখন আর কলেজের অধ্যাপকদের ছাড়া অন্য টিউশন সেন্টার থেকে গাইড নিচ্ছে না৷


জানা গেছে বাম মার্গিও এই ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রসূন দত্তকে বিগত আমলেও একবার এমনি বহু অভিযোগে ধর্মনগরের পলিটেকনিক কলেজ থেকে বদল করা হয়েছিল৷ কিন্তু আবার উনি ধর্মনগরে ফিরে এসে প্রাইভেট টিউশনের ব্যবসায় মেতে উঠেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *