আগরতলা, ২১ জানুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরার প্রতিটি স্তরের মানুষ একজোট হয়ে রাজ্যের উন্নয়নে ব্রতী হয়েছেন। পূর্ণরাজ্য দিবসের অনুষ্ঠানে এভাবেই ত্রিপুরাবাসীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন রাজ্যপাল রমেশ বৈস। তাঁর কথায়, ত্রিপুরার বিকাশযাত্রা একটি মজবুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে।
মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নম্বর হল-এ রাজ্যভিত্তিক ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্য দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে৷ তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে রাজ্যপাল রমেশ বৈস বলেন, স্বাধীনতার সময় বিভিন্ন রাজন্যশাসিত রাজ্যগুলিকে ভারতবর্ষের মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল৷ ১৯৫৬ সালে ত্রিপুরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃতি লাভ করে৷ পরবর্তী সময়ে উত্তরপূর্ব এলাকাসমূহ পুনর্গঠন আইন, ১৯৭১ অনুসারে ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারি ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা লাভ করে৷ এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়, বলেন রাজ্যপাল৷
বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে রাজ্যপাল বৈস আরও বলেন, প্রতিটি স্তরের সাধারণ মানুষ একজোট হয়ে রাজ্যের উন্নয়নে ব্রতী হয়েছেন৷ বহুপক্ষীয় প্রয়াসের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে একেবারে রাজ্যের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরার বিকাশযাত্রা একটি মজবুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভিত্তি করে এগিয়ে চলছে৷ বর্তমান সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মাছচাষ, পানীয়জলের ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিকরণ, সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলসেচ উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে৷ তিনি বলেন, নেশামুক্ত, সুশাসিত, পর্যটনবান্ধব, স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ডিজিটাল, উন্নত পরিকাঠামো সম্পন্ন, শিক্ষিত, সুস্বাস্থ্য সম্পন্ন রাজ্য গড়ার লক্ষ্যে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে চলছে নতুন সরকার৷ তাঁর পরামর্শ, রাজ্যকে নিজের বলে মানতে হবে৷ তখনই রাজ্যের প্রতিটি বিষয় আমরা অন্তর থেকে অনুভব করতে পারব৷