নূর-সুলতান (কাজাকাস্তান), ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.): মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বিমান ভেঙে পড়ায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৪ জন যাত্রীর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে মোট ১০০ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯৫ জন যাত্রী এবং ৫ জন ক্রু মেম্বার। শুক্রবার সকালে কাজাখস্তানের আলমাটি বিমানবন্দরের কাছেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। টেক অফের সময়ই উচ্চতা হারানোর ফলে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
কাজাখ প্রশাসন সূত্রের খবর, বেক এয়ার সংস্থার বিমানটিতে মোট ৯৫ জন যাত্রী ছিলেন। পাইলট ও বিমানসেবিকা মিলিয়ে ছিলেন আরও পাঁচ জন। শুক্রবার সকাল ৭.২২ মিনিট নাগাদ কাজাখস্তানের শহর আলমাটি থেকে দেশের রাজধানী নূর-সুলতানের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। আলমাটি পাহাড়ি এলাকা। বিমানবন্দরটাও পাহাড়ের উপরেই রয়েছে। শুক্রবার সকালে বিমানটি টেক অফের সময়ই কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। ফলে উচ্চতা হারিয়ে বিমানবন্দরের কাছেই একটি দো-তলা বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিমানের ভিতরে অনেক যাত্রীই জীবীত অবস্থায় আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যে দো-তলা বাড়ির উপরে ভেঙে পড়েছে বিমান, সেই বাড়ির ভিতরে কেউ ছিলেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। বিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে তবেই বাড়ির ভিতরে ঢোকা সম্ভব বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কে জোমার্ট টোকায়েভ জানিয়েছেন, ‘আইন অনুযায়ী দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে।’