নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ ডিসেম্বর৷৷ চলতি মাসেই নয়া পর্যটন নীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ত্রিপুরা সরকার ৷ তাতে, পর্যটন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, স্বরোজগার এবং স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির চেষ্টা হবে ৷ যুব সম্প্রদায় তাতে দারুণভাবে উপকৃত হবেন বলে দাবি করেন পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ৷
তিনি জানান, ত্রিপুরা সরকার ডিসেম্বরের মধ্যেই পর্যটনে ত্রিপুরাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নয়া পর্যটন নীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে ওই নীতির খসড়া তৈরি হয়েছে ৷ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়সীমায় পর্যটনক্ষেত্রে নানা সম্ভাবনায় ত্রিপুরাকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খসড়া পর্যটন নীতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হবে ৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরা সরকার পর্যটনকে একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় সাজাতে চাইছে ৷ বৃহত্তর ক্ষেত্রে পর্যটনের সুফল পাবে ত্রিপুরা ৷ তাঁর দাবি, নয়া পর্যটন নীতি সেই দিশাতেই ত্রিপুরাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ৷
তিনি বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের প্রশ্ণে বলেন, ত্রিপুরা সরকার এরাজ্যে একটি ট্যুরিস্ট সার্কিট নির্মাণ করবে ৷ তাতে, এই অঞ্চলে ত্রিপুরা পর্যটনে আরও উন্নয়ন হবে ৷ সাথে তিনি যোগ করেন, নয়া নীতিতে ধর্মীয় পর্যটন, স্বাস্থ্য পর্যটন, চলচ্চিত্র পর্যটন এবং চা পর্যটনকে যুক্ত করা হয়েছে৷
পর্যটনমন্ত্রীর বক্তব্য, ত্রিপুরা সরকার পর্যটকদের পরিবহন পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেকার যুবকদের গাড়ি ক্রয়ে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, চালকদের প্রশিক্ষণ এবং পর্যটনে দক্ষতা বিকাশের বিষয়টিও ওই নয়া নীতিতে রাখা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে বাৎসরিক পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি যুব সম্প্রদায়কে উৎসাহ জুগাবে ৷
তিনি আরও জানান, ওই নয়া নীতির অন্তর্গত পর্যটনে পরিকাঠামো উন্নয়ন, ডম্বুরে হেলিপ্যাড নির্মাণ, লগ হাট, ক্যাফেটরিয়া এবং পিপিপি মডেলে পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ ও রূপওয়ে, গল্ফ কোর্ট, পঞ্চকর্মা এবং বিনোদন পার্ক নির্মাণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে ৷ এছাড়া, প্যাকেজ ট্যুরের মাধ্যমে ত্রিপুরাকে পর্যটকদের কাছে আরও সহজলভ্য করার চিন্তাভাবনা রয়েছে ত্রিপুরা সরকারের ৷