কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.): এবার রাজভবনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সোমবার বিকেলে টুইট করে একথা জানান রাজ্যপাল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রাজ্যে পরিস্থিতির যে শোচনীয় অবস্থা হয়েছে, তার খোঁজখবর নিতেই মুখ্যমন্ত্রীকে আগামীকাল রাজভবনে আসার কথা জানিয়েছেন তিনি
এদিন বিকেলে রাজ্যপাল টুইট করে লেখেন, “কাল মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধামতো সময়ে তাকে রাজভবনে আসতে বলা হয়েছে”। অন্যদিকে, আজ সোমবার নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে বাংলায় যে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে রাজভবনে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু এদিন তাঁদের কেউই রাজভবনে যাননি| এমনকি তাঁরা যে রাজভবনে যেতে পারবেননা সেই বিষয়েও রাজ্যপালকে সরকারিভাবে কিছুই জানাননি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, তাঁদের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতও বটে।”
নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর জেলায় জেলায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আজ মিছিলের ডাক দেয় শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। এদিন ধর্মতলায় আম্বেদকরের মূর্তির সামনে থেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে মিছিল বের করে শাসক দল। অন্যদিকে, যাদবপুর থেকে আইনের সমর্থনে মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। পাশাপাশি রাজারহাট থেকে আইনের বিরোধিতা করে মিছিলে পা মেলায় বামেরা। যদিও এদিন সকালে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে সংবিধান বিরোধী কাজ করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল| পাশাপাশি উস্কানিমূলক বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি টাকা নষ্ট করে যে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন সেই কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
রাজ্যের শাসক দল রাজ্যপালের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল বের করেছিল তাতে করে আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী রাজভবন যাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহল। অপরদিকে, আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে না গেলে রাজ্যপাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হতে পারেন, যাতে করে আরও চরমে উঠতে পারে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত।