BRAKING NEWS

সন্ত্রাসবাদই পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নীতি : রাজনাথ সিং

দেহরাদুন, ৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত করেছে পাকিস্তান। এর থেকে তারা এখনও পিছু হটছে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

শনিবার রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত করেছে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে চারটি যুদ্ধের মধ্যে প্রতিটিতে হেরেছে তারা। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের পথ থেকে এখনও সরে আসেনি। এদিন দেহরাদুনে ইণ্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডির ১৪২তম পাসিং আউট প্যারেডে অংশগ্রহণ করে সদ্য পাশ করা নতুন ক্যাডেটদের সন্ত্রাসবাদীদের মুখোমুখি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সন্ত্রাসদমনে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের একাধিক পদক্ষেপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে কৌশলগত বিভিন্ন পন্থা অবলম্বনের ফলে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। বর্তমান শতাব্দীতে গোটা বিশ্বে ঘটে যাওয়া দুইটি বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার নজির তুলে ধরে রাজনাথ বলেন, ৯/১১ হামলায়  দায়ী আল কায়দার মূলচক্রীকে পাওয়া গিয়েছিল পাকিস্তানে। এমনকি ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল্যচক্রী লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কম্যান্ডারাও নিরাপদে রয়েছে পাকিস্তানে।

সন্ত্রাসবাদীদের নন-স্টেট অ্যাক্টর আখ্যা দিয়ে রাজনাথের দাবি, প্রশাসনের মাথায় কাঠপুতুল সরকার বসিয়ে পাকিস্তান প্রশাসনের যাবতীয় নীতি এরাই ঠিক করে দেয়। ২৬/১১ নিহতের পরিবারের সদস্যেরা তখনই বিচার পাবে যখন মূল্যচক্রীদের খতম করা হবে।

ভারত যে কোনও দেশের উপর হামলা চালায়নি তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য দেশের ভূখণ্ড দখল কোনওদিন করেনি। পাকিস্তানকে আজব প্রতিবেশী আখ্যা দিয়ে তরুণ ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাকিস্তানের যে কোনও হামলার জবাব দিতে তৈরি ভারত। সাইবার সন্ত্রাসবাদও যে বর্তমান সময় একটা বড় চ্যালেঞ্জ, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও সন্ত্রাসবাদ দমন প্রসঙ্গে যে গোটা বিশ্বের সঙ্গে সহমত চিন তা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি ডোকালাম সঙ্কটের সময় সেনাবাহিনীর বীরত্বকেও কুর্ণিশ জানিয়েছেন।

পাশ করা নতুন ক্যাডেটদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মধ্যেই স্বর্ণোজ্বল ভারতকে খুঁজে পাই। কাঁধের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে চলার ফলে আগামীদিনে আপনারা যে কোনও বৃহত লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।’

এদিন ৩৭৭ জন জেন্টিলম্যান ক্যাডেট আইএমএ থেকে পাশ করে বেরোলেন। এবার তাঁরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিম্যান্টে যোগ দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *