BRAKING NEWS

হায়দরাবাদের ঘটনায় গ্রেফতার ৪জনের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত

হায়দরাবাদ, ৩০ নভেম্বর (হি.স.): তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে তরুণী পশুচিকিত্সককে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ | ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ| শনিবার তাদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন | ধৃতদের শাদনগর থানা থেকে চঞ্চলগুদা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ শহর সংলগ্ন শাদনগরে তরুণী পশুচিকিত্সকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ| হায়দরাবাদের অনতিদূরে শামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে খুন করা হয় ওই তরুণী পশুচিকিত্সককে| পরে দেহটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়| ধর্ষণ করার পর আগুনে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে ওই তরুণী পশুচিকিত্সককে| নক্ক্যারজনক এই ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ| সেইসঙ্গে তরুণী যে টোল প্লাজার কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন, পুলিশ সেখান থেকে মৃতের জুতো, জামাকাপড় ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে। দেহাংশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় চার অভিযুক্তকে | এরা হল মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০) নামে এই চার জনই ট্রাকের কর্মী। প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ। এরা সকলেই ট্রাকের চালক ও খালাসি, নারায়ণপেট জেলার বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ ও অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজ পায় পুলিশ। চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় এই চারজনকে গ্রেফতারের পরপরই শামশাবাদের কাছে আর এক মহিলার পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, এই ক’জন দ্বিতীয় ঘটনাতেও জড়িত। শনিবার তাদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন | ধৃতদের শাদনগর থানা থেকে চঞ্চলগুদা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি কালভার্টের নীচ থেকে ওই তরুণী চিকিত্সকের আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কল্লরু গ্রামের একটি পশু হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শামশাবাদ টোল প্লাজার কাছে নিজের স্কুটারটি পার্ক করে একটি ভাড়ার ট্যাক্সি নিয়ে গোচিবাওলিতে এক চর্ম চিকিত্সকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন স্কুটারের পিছনের চাকা পাংচার হয়ে গিয়েছে। রাত তখন ৯টা বেজে গিয়েছিল। তরুণী তাঁর বোনকে জানিয়েছিলেন দুই ট্রাকচালক স্কুটারটি সারাতে তাঁকে সাহায্য করবে বলছে। তখনই তাঁর বোন তরুণীকে ট্যাক্সি ধরে বাড়ি ফিরে আসার কথা বলেন। পুলিশকে তরুণীর বোন জানিয়েছেন, ওটাই ছিল তাঁদের দু’জনের মধ্যে শেষ কথা। দিদি না ফেরায় বোন ফের রাত ১০টা নাগাদ ফোন করেন। কিন্তু মোবাইল বন্ধ ছিল। পর দিন সকালে শামশাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নীচে তরুণী চিকিত্সকের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *