BRAKING NEWS

পণের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট, গ্রেপ্তার স্বামী

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৮ নভেম্বর৷৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার পেচারথলে এক বধূকে পিটিয়ে গুরুতরভাবে জখম করেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন৷ মারধরের ফলে গর্ভস্থ সন্তানও নষ্ট হয়ে গেছে৷ নির্যাতিতা গৃহবধূ এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেছে৷ অভিযুক্ত স্বামী বিক্রমজিৎ নমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ মাত্র ৯ মাস আগে সোনার সংসার গড়ার স্বপ্ণ নিয়ে সামাজিক প্রথায় বিয়ে হয়েছিল পেচারথল থানা এলাকার ধনীছড়ার বিক্রমজিতের সঙ্গে ধলাই জেলার ৮২ মাইল এলাকার শান্তনা নম’র৷ দীনদরিদ্র পরিবারের মেয়ে শান্তনার বিয়েতে সাধ্যমতো বাপের বাড়ি থেকে পণ মিটিয়ে দেওয়া হয়৷


শান্তনা সুখের নীড় গড়ার স্বপ্ণ দেখছিল৷ কিন্তু বিয়ের এক মাস পর থেকেই শান্তনার উপর গুরু হয় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের অমানসিক নির্যাতন৷ শান্তনাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেবার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনরা৷ কিন্তু শান্তনার বাপের পক্ষে টাকা মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না৷ এরই জের ধরে গৃহবধূ শান্তনার উপর নির্যাতনের মাত্রা দিনদিন বেড়ে যায়৷ এমনকি তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়৷ এসব বিষয় নিয়ে শালিশী সভাও হয়েছে৷ স্বামী বিক্রমজিৎ তাকে অগ্ণিদগ্দ এবং জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করেছে বলেও গৃহবধূ শান্তনার অভিযোগ৷ এরই মধ্যে শান্তনা অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ে৷ তাতেও রেহাই নেই৷


শারীরিক অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়৷ তাকে প্রথমে পেচারথল হাসপাতালে ও পরবর্তীতে মাকুন্দা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরীক্ষা নিরীক্ষ করে দেখা যায় শান্তনার গর্বস্থ সন্তানটি নষ্ট হয়ে গেছে৷ শান্তনার অভিযোগ তাকে মারধর করার ফলেই গর্বস্থ সন্তানটি নষ্ট হয়ে গেছে৷ দীপাবলির আগের দিন স্বামী বিক্রমজিৎ আচমকা শান্তনার উপর চড়াও হয়৷ তখনই গৃহবধূ শান্তনা আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়৷
সেখান থেকে চুলের মুটি ধরে তাকে টেনে হেছড়ে বাড়িতে নিয়ে এসে মারধর করে বলেও অভিযোগ এমনকি পাশের বাড়ির লোকজনরা গৃহবধূকে আশ্রয় দেওয়ায় তাদেরকেও দেখে নেবার হুমকি দেয় বিক্রমজিৎ৷ এ সংক্রান্ত ফোন রেকর্ডিং রয়েছে পরিবারটির কাছে৷ পাশের বাড়ির লোকজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে শান্তনার বাপের বাড়ির লোকজনরা ছুটে আসেন শান্তনার শ্বশুর বাড়িতে৷ সেখান থেকে তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যান তারা৷ বর্তমানে গৃহবধূটি চিকিৎসাধীন৷ এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *