নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ নভেম্বর৷৷ শুক্রবার রাজ্যের প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার ,বিধায়ক তপন চক্রবর্তী, বিধায়ক সুদন দাস, বিধায়ক রতন ভৌমিক, প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস সহ এক প্রতিনিধি দল ৭ রামনগর বিধান সভার রাম নগর ৮ নম্বর এলাকার আক্রান্ত সংখ্যালঘু পরিবারগুলিকে দেখতে যান৷ সেখানে গিয়ে আক্রান্ত পরিবারগুলির সাথে কথা বলেন৷
পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ঐ এলাকার সংখ্যালঘু পরিবারের বেশিরভাগ পরিবারই বিরোধী দলের কর্মী সমর্থক৷ বিগত বহুবছর যাবৎ তারা সিপিআইএম দল করে আসছেন কিন্তু কোনো দিনই আক্রমণের শিকার হননি৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/DSC_3311-1024x683.jpg)
তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্য নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করার পর থেকেই বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ ভাঙচুর প্রতিনিয়তই লেগেই রয়েছে৷ এইসব ব্যাপারে স্থানীয় থানাগুলোকে জানাবার পরেও বিশেষ কোন পদক্ষেপ নেন না-তাতে করে বোঝা যায় রাজ্যে বিরোধী দলের কোন কর্মী সমর্থকরা মিছিল মিটিং এ যোগদান করতে পারবেন না৷
মানিক সরকার জানান, সারা রাজ্য জুড়েই ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের ফালাফল ঘোষণা হবার পর থেকে সন্ত্রাস চলে আসছে৷ এই বষয়গুলি নিয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সদর দফতরের পুলিশের মহা নির্দেশক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ পর্যন্ত হলেও কিন্তু বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে আক্রমণ কমছে না৷
বিগত ৩০-১০-১৯ইং, তারিখে সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে আগরতলার রাজধানীর রাজপথে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা৷ তারাই পরিপ্রেক্ষিতে কতিপয় দুষৃকতি সংখ্যালঘু পরিবারে বাড়ি ঘরে আক্রমণ করে৷ ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ি ঘরে আক্রমণ চালানো হয় বলে জানালেন এক মহিলা৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সহ প্রতিনিধিদল পরিবারের সদস্যদের কথা শুনেন, তারপরে বাড়িঘরগুলি পরিদর্শন করে বেরিয়ে আসার সময় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলের নেতা জানান রাজ্য সরকার পুলিশকে জানানোর পরেও কোন উদ্যোগ নেন না, তৎসঙ্গে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর আক্রম খুবই নিন্দনীয়৷