BRAKING NEWS

সপরিবারে ঊণকোটিতে রাজ্যপাল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২১ অক্টোবর৷৷ রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সপরিবারে ঊনকোটি পরিদর্শনে এলেন রাজ্যপাল রমেশ বৈস৷ রবিবার সড়কপথে উনি আগরতলা থেকে কৈলাসহরে আসেন৷ রবিবার বিকাল ৪টা নাগাদ ঊনকোটি পরিদর্শনের কথা থাকলেও কৈলাসহর পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় রবিবার পরিদর্শন বাতিল করা হয়৷ কৈলাসহর সার্কিট হাউসে রাত্রি যাপন করার পর সোমবার সকাল ১০টায় তিনি সপরিবারে ঊনকোটি পরিদর্শনে আসেন৷ ঊনকোটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে, ত্রিপুরা রাজ্য পুরোটাই হচ্ছে একটা একটি ঐতিহাসিক স্থান৷ তিনি রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হয়ে আসার পূর্বে ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন৷ তিনি আরো বলেন, যে অঙ্গটি সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঐতিহাসিকরা যে সমস্ত তথ্য তুলে ধরেছেন আমাদের কাছে তার মধ্যে কিছুটা অপূর্ণতা রয়ে গেছে৷

তাছাড়া ঊনকোটির যে গুরুত্ব বা তার যে শিল্প নৈপুণ্যতা ঊনকোটিকে অনেক আগেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্থান পাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা আজও হয়নি৷ ঊনকোটি আজ অনেকটাই অবহেলিত৷ কারণ তার সঠিক তথ্য ও প্রচার এখনো সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ দেশ-বিদেশের নানা ঐতিহাসিকরা এখানে এসে দেখা প্রয়োজন যে ভারতের সভ্যতা সংসৃকতি বা মূর্তি কলা শিল্প, ধার্মিক ভাবনা কতটা ছিল সেই প্রাচীনকাল থেকেই৷ পাশাপাশি তিনি ঊনকোটি পরিদর্শন করার পর তাকে খুব দ্রুত যাতে আরো উন্নত ও বিকশিত করা যায় এবং তার প্রচার প্রসারের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের সাথে কথা বলবেন৷

তিনি লক্ষ্য করেন ঊনকোটি উপর নিচে ওঠার জন্য যে সমস্ত সিঁড়ি রয়েছে তা বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে খুবই কষ্টকর৷ ফলে এসব সমস্যার সমাধানের জন্য খুব দ্রুত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া কাজ করবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন৷ তিনি ঊনকোটির সার্বিক উন্নয়ন ও প্রচার প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন৷ ঊনকোটি পরিদর্শনে রাজ্যের রাজ্যপালের সাথে ছিলেন উনার স্ত্রী, এক মেয়ে বন্ধু ও তিন নাতি-নাতনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *