নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ অক্টোবর৷৷ শীগ্রই শিক্ষক নিয়োগে অফার ছাড়বে রাজ্য সরকার৷ ৪৬০ জন শিক্ষক নিয়োগে প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷
আজ তিনি জানিছেন, নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য এসটিজিটি শিক্ষক পদে ৪৫০ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে৷ তাঁদের কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে৷ তাঁর দাবি, টিআরবিটির কাছে এসটিজিটি ৬২৫ জন শিক্ষক চেয়েছিল শিক্ষা দপ্তর৷ কিন্তু, টিআরবিটি মাত্র ৪৫০ জনকে বাছাই করতে পেরেছে৷ তিনি জানান, সাধারণ শ্রেণীর ৩০৮ জন, এসসি ১০১ জন, এসটি ১৮৪ জন, দিব্যাঙ্গন ১৯ জন এবং প্রাক্তন সৈনিকদের কোটায় ১৩ জন শিক্ষকের প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছিল টিআরবিটিকে৷ কিন্তু, টিআরবিটি সাধারণ শ্রেণীর ৩০৮ জন, এসসি ৯৫ জন, এসটি ৪৩ জন, দিব্যাঙ্গন ৪ জনকে বাছাই করে তালিকা শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছে৷ প্রাক্তন সৈনিক কোটায় কাউকেই বাছাই কারাতে পারেনি টিআরবিটি৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা গত জুন মাসে পরীক্ষা দিয়েছিলেন৷
তেমনি, এসটিপিজিটি ৭৫ জন শিক্ষ নিয়োগের জন্য টিআরবিটির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল শিক্ষা দপ্তর৷ কিন্তু, মাত্র ১০ জনকে বাছাই করে তালিকা শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছে টিআরবিটি৷ শিক্ষামন্ত্রী এসটিপিজিটি শিক্ষকের স্বল্পতার ভিত্তিতে এক তথ্য তুলে ধরেছেন৷ তিনি বলেন, আরবিক ভাষা শিক্ষক ৬ জন চেয়েছে শিক্ষাদপ্তর পেয়েছে ১জন, তেমনি ইকোনোমিক্সে ২২ জন চেয়েছে, পেয়েছে ১জন৷ জিওগ্রাফি ৪ জন চেয়েছে পেয়েছে ২ জন৷ ককবরক ১৯ চেয়েছে পেয়েছে ১ জন৷ সংগীতে ১০ জন চেয়েছে পেয়েছে ২ জন৷ সাইকোলজি ৮ জন চেয়েছে পেয়েছে ২ জন৷ সোসিওলজি ১ জন চেয়েছে এক জন পাওয়া গেছে৷ এডুকেশন ২ জন, ফিলোসফি ২জন এবং মিজো ভাষা শিক্ষক ১ জন চেয়েছে৷
কিন্তু, ওই তিনটি বিষয়ে এক জন শিক্ষকও পাওয়া যায়নি৷ তাই, এসটিপিজিটি ১০ জন শিক্ষক পাওয়া গিয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন তাঁদের কাগজপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে৷ খুব শীগ্রই তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী৷