নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ অক্টোবর৷৷ ধনদেবী লক্ষ্মীর আরাধনার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে৷ আগামীকাল কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা৷ সাধারণত, প্রত্যেক বাড়িতেই লক্ষ্মী পূজা হয়ে থাকে৷ ফলে, এই পূজা নিয়ে ব্যস্ততা একটু আলাদা হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ তবে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতেও মা লক্ষ্মীর আরাধনায় কোন রকম কার্পণ্য হবে বলে মনে হচ্ছে না৷ অবশ্য, বাজারে চাহিদা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মিশ্র মতামত উঠে এসেছে৷
আজ আগরতলার অন্যতম প্রধান বাজার হিসেবে পরিচিত মহারাজগঞ্জ বাজারে ক্রেতাদের ভিড় অবাক করার মতই ছিল৷ কারণ, অন্যান্য বছর তুলনামূলক এই সময়ে ভিড় বেশি ছিল৷ বিশেষ করে মূর্তির বাজারে বিক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গিয়েছিল গত বছর৷ এ-বিষয়ে জনৈক মূর্তি বিক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের বাজারেও লক্ষ্মী মূর্তির দাম বাড়ানো হয় নি৷ গত বছর যে দামে মূর্তি বিক্রি হয়েছে, একই দামে এবারও মূর্তি বিক্রি করা হচ্ছে৷ তবে, এবছর ক্রেতা অনেক কম৷ তার দাবি, গত বছর এই সময়ের মধ্যে মূর্তির চাহিদা অনেক বেশি ছিল৷ ফলে, এবছর মানুষে লক্ষ্মী পূজা কম করছেন কিনা তা বুঝতে পারছি না, ঠাট্টা করে বললেন তিনি৷
এদিকে মূর্তি কিনে বাড়ি ফেরার পথে জনৈক ক্রেতা বলেন, মূর্তির দাম গত বছরের সমানই রয়েছে৷ তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় ক্রেতার ভিড় অনেকটাই কম বলে মনে হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, ফল-সবজির দাম সামান্য বেড়েছে৷ প্রায় একই মতামত জনৈক গৃহিণীরও৷ তাঁর কথায়, মূর্তি এবং ফলের দাম অনেক বেড়েছে৷ তিনি বলেন, মা লক্ষ্মীর ছোট্ট একটি প্রতিমা ৪০০ তাকে দিয়ে কিনতে হয়েছে৷ তাছাড়া, আঙ্গুর, আম ইত্যাদির দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে৷
এদিন জনৈক ফল বিক্রেতা বলেন, বাজারে জিনিসের চাহিদা রয়েছে৷ তবে, দাম কিছুটা বেড়ে রয়েছে৷ তিনি জানান, আপেল ১০০ টাকা, আঙ্গুর ৩০০ টাকা, আম ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে৷ অন্যান্য ফলের দামও বেড়েছে৷
এদিকে বাজি বিক্রি নিয়েও ব্যবসায়ীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে৷ এক বাজি বিক্রেতার কথায়, প্রত্যেক ধরনের বাজির দাম ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তবুও বিক্রি ভালই হচ্ছে৷ কিন্তু অন্য আরেক পাইকারি বিক্রেতার কথায়, এবছর বাজি বিক্রি কম হচ্ছে৷ অবশ্য, ব্যবসায়ীদের ধারণা আগামীকাল সকালে বাজারে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাবে৷