নয়াদিল্লি, ১ অক্টোবর (হি.স.) : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন যে গত এক বছরে নিজেদের রাজ্যে বাইরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই প্রকল্প থেকে সহায়তা পেয়েছে।
মঙ্গলবার আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রীর জনআরোগ্য যোজনার এক বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষ্যে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুষ্মান ভারত যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটিয়েছে। দেশের যে কোনও রাজ্যে বসবাসকারী কোনও ব্যক্তি যে কোনও জায়গায় থেকে উচ্চস্তরের চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবেন। এ উপলক্ষ্যে তিনি আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য যোজনার সুবিধাভোগীদের সহায়তার জন্য পিএম-জেএওয়াই অ্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি পাঁচ টাকার স্মারক ডাক টিকিটেরও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে উল্লেখ করেননি তবে দেশের যে কোনও অঞ্চলে বসবাস করা যে কোনও ব্যক্তির অন্য যে কোনও অংশে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকারের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেউ আনন্দ করে তাদের বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চান না। আসলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার অভাবে বাধ্য হয়ে সেই সকল মানুষ এমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। আয়ুষ্মান ভারত দেশের যে কোনও অঞ্চলে রোগীদের উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করেছে। তাই দেশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজ্যের বাইরে এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন। উল্লেখ্য সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন যে বিহার এবং অন্যান্য রাজ্যের লোকেরা বিনামূল্যে চিকিত্সার জন্য দিল্লিতে আসে, ফলে এখানকার হাসপাতালগুলিতে চাপ বেড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আয়ুষ্মান ভারত থেকে দেশে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বেড়েছে। এখন সেই রোগীও হাসপাতালে পৌঁছে যাচ্ছেন, যে নিজের চিকিৎসা করার কথা কখনও ভাবেনি। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ১৮ হাজার হাসপাতালের মধ্যে ১০ হাজার হাসপাতাল বেসরকারি। দেশের ৪৬ লক্ষ মানুষের মধ্যে রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার আশা জাগিয়েছে এই প্রকল্প। এই এক বছরে, যদি কোনও ব্যক্তির জমি, বাড়ি, গহনা বা অন্য কোনও জিনিস বিক্রি হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে, তবে এটি আয়ুষ্মান ভারতর বিশাল প্রাপ্তি। আয়ুষ্মান ভারত প্রথম বছর সঙ্কল্প, সমর্পণ আর শিক্ষার দিশা দেখিয়েছে। এটি ভারতের সঙ্কল্পের শক্তি যে পৃথিবীর সব থেকে বড় হেলথ কেয়ার প্রকল্প ভারতে সাফল্যের সঙ্গে চলছে। এই সাফল্যের পেছনে সমর্পণের ভাবনা রয়েছে।