তিন দাগি চোর পুলিশের জালে

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ তিন দাগি চোর পুলিশের জালে ধরা পড়েছে৷ গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা শাখা ও ত্রিপুরা পুলিশের বিশেষ দল মঙ্গলবার গভীর রাতে ত্রিপুরা-অসম সীমান্তের ঝেরঝেরি নাকা পয়েন্ট গেইট এলাকায় সংঘটিত চুরি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত হোসেন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে৷ধৃতের জবানবন্দির ভিত্তিতে আব্দুল করিম ও ঝন্টু পাল নামে অপর দুই দাগি চোরকে জালে তুলতে সক্ষম হন গোয়েন্দা শাখা ও চোরাইবাড়ি থানার পুলিশ৷তাদের আটক করার পাশাপাশি একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে৷ ধৃত তিনজনকে আদালত ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে৷


গত ১৪ সেপ্ঢেম্বর উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুড়াইবাড়ি এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মাতা বিশ্বেশ্বরী সেবাশ্রমে দূঃসাহসিক চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল৷তাছাড়াও বেশ কিছু দিন ধরে উত্তর জেলায় বিভিন্ন মন্দির,ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও গৃহস্থের ঘরে চুরি কাণ্ডে জনমনে তীব্র উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল৷প্রায় দেড় মাস ধরে উদ্বেগজনকভাবে পরপর এই চুরি কাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে উত্তর জেলার ধর্মনগর মহাকুমা জুড়ে৷পুলিশ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে চুরি কান্ড সংঘটিত করেছিল চোরের দল৷ অথচ, পুলিশ চুরি বন্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল৷


গত ১৭ সেপ্ঢেম্বর রাত থেকে শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়৷পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা শাখা ও চোরাইবাড়ি থানার পুলিশ গত কয়দিনে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে মোট ৬ জন দাগি চোরকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়৷এদিকে গতকাল জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর কাছে গোপন সূত্রে খবর পান, উত্তর জেলার বিভিন্ন মন্দিরে চুরি কান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত হোসেন আহমেদ অসমের শিলচর থেকে বিকল্প সড়ক দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করছে৷

সেই মোতাবেক বিকল্প সড়কের ঝেরঝেরি নাকা পয়েন্টে পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ওৎ পেতে বসে থাকেন৷রাত দশটা নাগাদ ঝেরঝেরি নাকা পয়েন্টের গেইট থেকে চুরি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হোসেন আহমেদ(২৭)কে গ্রেফতার করে পুলিশ৷তার বাড়ি ডুপিরবন্ধ লালছড়া এলাকায়৷পরে ধৃতের জবানবন্দির ভিত্তিতে আব্দুল করিম(২৯) ও ঝন্টু পাল(৩২)কে পাঁকড়াও করে পুলিশ৷ তাদের বাড়ি চোরাইবাড়ি থানাধীন শনিছড়া এলাকায়৷ ধৃতদের বুধবার ধর্মনগর আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ৷ আদালত তাদের চার দিনের পুলিশ হেপাজতে পাঠিয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে বেশকিছু আপত্তিকর সামগ্রী সহ চুরির কিছু সামগ্রী পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে৷