বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে করবুক-যতনবাড়ি সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ আগস্ট৷৷ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং পানীয় জলের দাবিতে মঙ্গলবার করবুক- যতনবাড়ি সড়ক অবরোধ করলেন মন্ত্রীদাস পাড়ার বাসিন্দারা৷ টানা দুই ঘণ্টা অবরোধের পর করবুকের মহকুমাশাসক এবং বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সমস্যা সমাধান ও দাবি পূরণে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন৷ তবে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন৷


গোমতি জেলার করবুক মহকুমার বৈরাগী দোকান এলাকা সংলগ্ণ মন্ত্রীদাস পাড়া-সহ পার্শবর্তী আরও কয়েকটি পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ভেঙে পড়েছে৷ পানীয় জলের উৎসগুলিও শুকিয়ে গেছে৷ ফলে স্থানীয় জনগণ পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন৷ তাই তাঁরা আজ করবুক-যতনবাড়ি সড়ক অবরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন অবরোধকারীরা৷ তাঁদের বক্তব্য, এলাকার বহু পুরনো ট্রান্সফরমারগুলি বদলে নতুন লাগানো হবে বলে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, পুরনো ট্রান্সফরমারগুলিই সারাই করে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ফলে, প্রায়ই ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে৷ সাথে তাঁরা যোগ করেন, এলাকাজুড়ে বিদ্যুতের বিভিন্ন খুঁটি বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে৷ স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা, যে কোনও সময় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷


তাঁদের আরও অভিযোগ, সমগ্র এলাকায় পানীয় জলের উৎসগুলি শুকিয়ে গেছে৷ অথচ সে-দিকে প্রশাসন কোনও নজর দিচ্ছে না৷ ফলে, বেশ কয়েক মাইল হেঁটে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে৷ তাছাড়া, করবুক-যতনবাড়ি সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হলেও সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন, বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন তাঁরা৷ তাই, আজ সড়ক অবরোধ করা হয়েছে, জানান অবরোধকারীরা৷ তাঁদের সাফ কথা, ওই সমস্যাগুলি সমাধানে প্রশাসন উদ্যোগ নিলে তবেই অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে৷


প্রসঙ্গত, ওই এলাকাটি উপজাতি অধ্যুষিত৷ সমালোচকদের বক্তব্য, ত্রিপুরা সরকারের উপজাতি বঞ্চনার জ্বলন্ত উদাহরণ ওই অবরোধ৷ এদিকে, সকাল সাড়ে আটটা থেকে ওই সড়ক অবরোধের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ বহু গাড়ি বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াত শুরু করে৷ খবর পেয়ে করবুকের মহকুমাশাসক এবং বিদ্যুৎ দফতরের করবুক মহকুমার শীর্ষ আধিকারিক অবরোধস্থলে ছুটে যান এবং অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান৷

কিন্তু, সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহারে রাজি হননি অবরোধকারীরা৷ অবশেষে, শীঘ্রই তাঁদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া এবং সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেন করবুকের মহকুমাশাসক৷ প্রতিশ্রুতি পেয়ে তাঁরা সকাল সাড়ে এগারটা নাগাদ অবরোধ তুলে নেন৷ কিন্তু, প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *