BRAKING NEWS

মলয়নগরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার মহিলা, গণধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগস্ট৷৷ শ্রীনগর থানাধীন মলয়নগর এলাকা থেকে রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ মহিলার নাম পদ্মা চক্রবর্তী৷ বাড়ি সেকেরকোর্টের পশ্চিম পাড়ায়৷ দুই যুবক বটতলা থেকে মলয়নগর এলাকায় নিয়ে গণধর্ষণ শেষে হত্যার চেষ্টা করে মহিলাকে৷ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে চম্পট দেয় তারা৷ মলয়নগরে এক মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷


রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে সোমবার রাতে তাকে উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্রীনগর থানার পুলিশ৷ তার গলায় এবং শরীরে অন্যান্য জায়গায় আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে৷ বর্তমানে ওই মহিলা জিবি হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন৷ মহিলার ভাই অজয় ভট্টাচার্য জানান, প্রায় ১২-১৩ বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়েছিল৷ বিয়ের কিছুদিন পরেই স্বামীকে ছেড়ে চলে আসে৷ তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলেছে৷ মায়ের কাছেই থাকত পদ্মা চক্রবর্তী নামে ওই মহিলা৷


বোনের এহেন পরিণতিতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভাই অজয় ভট্টাচার্য৷ তিনি জানান, কোন খারাপ কাজের উদ্দেশ্যেই ওই দুই যুবকের সঙ্গে অটো করে গিয়েছিল৷ তবে কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি৷ মহিলার ভাই আরও অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় তার স্বামীর হাত রয়েছে কিনা তানিয়েও সন্দেহ রয়েছে৷ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে শ্রীনগর থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার জানান, সোমবার রাত ৮.৫৫ মিনিট নাগাদ থানায় খবর আসে মলয়নগরে এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে৷

খবর পেয়ে মলয়নগর গিয়ে একটি বাড়ি থেকে মহিলাকে উদ্ধার করে৷ ওই মহিলা নাকি ওই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল৷ পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী দুই যুবক ধর্ষণ শেষে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল৷ এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানায় মামলা গৃহীত হয়েছে৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷
মহিলাকে বটতলা থেকে তুলে নিয়ে গণ-ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে আসল রহস্য উদ্ঘাটন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *