BRAKING NEWS

ইঞ্জিনীয়ার পড়ুয়া যুবক খুনের চবিবশ ঘন্টা পরও গ্রেপ্তার নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জুন৷৷ রাজধানী আগরতলা শহর এলাকার এডিনগর থানা এলাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এক ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে৷ নিহতের নাম দীপ চক্রবর্তী৷ জানা যায় তাকে প্রথমে ফোন করে তারই বন্ধুরা স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে যায়৷ সেখান থেকে দুর্জয়নগরে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের কোনও রহস্য আত্মগোপন করে রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷


রাজধানী আগরতলা শহর এলাকার এডিনগরের বাসিন্দা দিল্লিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পাঠরত দীপ চক্রবর্তী গত ৬ জুন ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল৷ তারই দাদা-বন্ধু মিঠুন দে শনিবার তাকে ফোন করে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলে৷ সে অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ বাবার কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা নিয়ে দাদা-বন্ধু মিঠুন দে’র সঙ্গে দেখা করতে যায়৷ তাতেই বিপত্তি৷ স্থানীয় একটি ক্লাবে তাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রেখে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ছক কষা হয়৷ জানা যায় গত ৩ মাস ধরে মিঠুনের সঙ্গে দীপ চক্রবর্তীর সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না৷ তদুপরি দিল্লি থেকে বাড়িতে আসার পর শনিবার বেলা ১০টা নাগাদ মিঠুন মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে দীপকে দেখা করতে বলে৷ বিকেল বেলা আবারও সে ফোন করে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলে৷ বিষয়টি দীপ তার মা এবং বাবাকে জানায়৷

অবশেষে সন্ধ্যা ৬.৩০ টা নাগাদ বাবার কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে মিঠুনের সঙ্গে দেখা করতে যায় দীপ৷ রাত ৮টা নাগাদ দীপের বাবা ফোন করে কথা বলেন দীপের সঙ্গে৷ তখনই নাকি তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়৷ পুনরায় ১০টা নাগাদ তার বাবা দীপকে ফোন করেন৷ তখন সে বলে ক্লাবে আছে ফিরে আসবে৷ রাত ১১.১৮ মিনিট নাগাদ পুনরায় ফোন করলে তার বাবা শুনতে পান পুত্র দীপ বলছে শানু দাদা তুমি আমাকে কি করছো? তাতে সন্দেহ ঘনীভূত হয় দীপের বাবার মনে৷ সেখান থেকে রাতে ফোন আসে দীপের বাবার কাছে৷ তারা জানায় দুর্জয়নগরে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দীপ৷

তাকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ জিবি হাসপাতালে ছুটে যান দীপের মা-বাবা৷ ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে৷ দীপের বাবা জানান দুর্জয়নগরে নিয়ে গিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ এই হত্যাকাণ্ডে মুন্না দে, শিবধর ভৌমিক, মিঠুন দে এবং নিলেশ বণিক নামে চারজন জড়িত রয়েছে বলে এডিনগর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন দীপের বাবা৷
ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে তাদের বাড়িতে ছুটে যান বিজেপি’র নেতৃবৃন্দ৷ নিহত দীপের বাবা একজন পৃষ্ঠাপ্রমুখ বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়৷ তার পুত্রকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মানিকলাল দাস৷
রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ উল্লেখ্য গত কয়েকমাস আগেও রাজধানী আগরতলা শহরের নেতাজী চৌমুহনি এলাকা এক ছাত্রকে পরিকল্পিতভাবে তারই বন্ধুরা হত্যা করেছিল৷ পরপর এইসব ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকরা রীতিমতো উদ্বিগ্ণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *