নয়াদিল্লি, ১ জুলাই (হি.স.) : কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এই কর্মসূচির ইতিবাচক দিকগুলি ট্যুইট করে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পদক্ষেপ মানুষের ক্ষমতায়ন বাড়িয়েছে। দুর্নীতি হ্রাস এবং সরকারি পরিষেবার মান্নোনত করে গরিবদের উপকৃত করেছে বলে ট্যুইটে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, চার বছর আগে আজকের দিনেই ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে প্রযুক্তির শক্তিকে ব্যবহার করে তাকে আরও বেশি করে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া মানুষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। উল্লেখজনক ভাবে দুর্নীতি হ্রাস হয়েছে। প্রশাসনিক পরিষেবা উন্নতি করে দিয়ে গরিবদের উপকৃত করেছে। ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার এই উদ্যোগ গণ আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে। জনগণের ক্ষমতাকে আরও বেশি শক্তিশালী করে দিয়ে শিক্ষা এবং উদ্ভাবনীর প্রচেষ্টাকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ডিজিট্যাল ইন্ডিয়াকে শক্তিশালী করতে যারা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে চলেছে, তাদের কুর্ণিশ জানাই। তাদের ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা রইল।
পয়লা জুলাই ২০১৫ সালে ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডিজিট্যালগত দিক দিয়ে দেশের সমাজ উন্নত করা এবং অত্যাধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে আর্থিক ব্যবস্থাকে উন্নত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।
এদিন ট্যুইট বার্তায় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ লেখেন, ২০১৫ সালের পয়লা জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। ঐক্যবদ্ধ, পরিবর্তনশীল, বৃদ্ধি এবং ক্ষমতায়ন ডিজিট্যাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। এমনকি এখন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগও এসেছে।
ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার সাফল্য তুলে ধরে রবিশঙ্কর প্রসাদ লেখেন, ৩.৬৫ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। ১২৩ কোটি আধার তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে ডিজি-লোকারে নথি জমা দেওয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৩৯ কোটি।